দ্রুত শেয়ার করুন-
কামাল হোসেন, বেনাপোল থেকেঃ বেনাপোল পোর্টথানায় কর্মরত নারী কনস্টেবল সিমা খাতুন এর বাসার কাজের মেয়ে লাবনী খাতুন(১৫) কাউকে কিছু না জানিয়ে গত ২০ মে/২০২২ ইং তারিখ বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় সীমা খাতুনের আলমীরাতে রাখা নগদ ১৫০০(এক হাজার পাঁচশত) টাকা এবং ব্যবহৃত নতুন ৩ থেকে ৪ সেট থ্রি পিস কাপড় ও কিছু দরকারী জিনিস পত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নারী কনস্টেবল সীমা খাতুন নিজে বাদী হয়ে নিজ কর্মস্থল বেনাপোল পোর্টথানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। জিডি নং-৮৭৩ তাং ২২/০৫/২০২২ ইং।
নারী কনস্টেবল সীমা খাতুন জানান,"গত ২০ মে/২০২২ ইং তারিখ পেশাগত দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে প্রতিদিনকার মত আমার ০৭(সাত) বছরের মেয়েকে বাসায় কাজের মেয়ে লাবনী(পলাতক)'র কাছে রেখে থানা অফিস কার্যালয়ে যায়। ঐ দিন ডিউটি শেষে রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে বাসায় ফিরলে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পা।
এ সময় কাজের মেয়ে লাবনীকে ডাকতে শুরু করি,কিন্ত লাবনীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এ সময় আমার মেয়েটিকে আমি অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাই"।
বিষয়টি নিয়ে আমি আমার অফিস কর্মকর্তা পোর্টথানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া, স্যার এর নিকট তুলে ধরি,তার পরামর্শ মোতাবেক কাজের মেয়ে লাবনী'র বিরুদ্ধে থানায় একটি "সাধারণ ডায়েরী"(জিডি) করি।
এদিকে, কনস্টেবল সীমা খাতুন লাবনী'র গ্রামের বাড়ী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামে খোঁজ নিলে,সেখানে সে যায়নি বলে লাবনী'র পিতা-লাল্টু মিয়া জানায়।
কাজের মেয়ে লাবনী'র পলাতকের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দীর্ঘ ৫(পাঁচ) বছর যাবৎ কাজের মেয়ে লাবনী নারী কনস্টেবল সীমা খাতুনের বাসায় বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করে আসছিল। হয়তোবা কারও প্ররোচনায় পড়ে সে এই পালানোর পরিকল্পনা করতে পারে।
মেয়েটির সন্ধানে কনস্টেবল সীমা খাতুনের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিচ্ছে,যেহেতু এ ব্যাপারে থানায় জিডি দায়ের করা হয়েছে, সে কারণে বেনাপোল পোর্টথানার পক্ষ থেকেও মেয়েটিকে উদ্ধারের সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিঃ দ্রঃ-পলাতক কাজের মেয়ে লাবনী'র কোন সন্ধান কারও জানা থাকলে যশোর জেলার শার্শা উপজেলার অন্তর্গত বেনাপোল পোর্টথানায় যোগাযোগ করার জন্য থানার পক্ষ থেকে বিশেষ ভাবে সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।