প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জুলাইয়ে চীন সফরে যাচ্ছেন। এ সফরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতাসহ কয়েকটি সমঝোতা সই ও চুক্তি হতে পারে। সূচি চূড়ান্ত করতে আগামী সোমবার বেইজিংয়ে বৈঠকে বসছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্পের অগ্রগতির ওপর জোর দেওয়া হবে।
আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) ও গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভে (জিএসআই) যুক্ত হতে আগেই বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। ২০২২ সালে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও দেওয়া হয়। তবে, তখন সরকার জানায়, জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো জোটে যোগ দিতে চায় না ঢাকা।
জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে চীন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় আলোচনায় টেবিলে উঠতে পারে জিডিআই ও জিএসআই ইস্যু। শীর্ষ পর্যায়ের এ সফরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা, সবুজ ও নিম্ন-কার্বন উন্নয়ন এবং বন্যা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদীর জলীয় তথ্য সরবরাহ বিষয়ে ঢাকাণ্ডবেইজিং সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
সোমবার বেইজিংয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির পাশাপাশি চুক্তির বিষয়ও চূড়ান্ত করা হবে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এ বৈঠকে বেইজিংয়ের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েডং। আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ত্রিদেশীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেবে ঢাকা। এ ব্যাপারে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, চীন আমাদেরকে সহযোগিতা করছিল। আমাদের পাইলট প্রকল্প থমকে গেছে।
মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের কতটুকু সম্পর্ক রয়েছে তা জেনে এ ব্যাপারে কাজ করতে অনুরোধ করব। আর ভবিষ্যতে তারা কীভাবে আগাতে চায়, সেটাও জানার চেষ্টা করব। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ঘাটতি কমানোসহ চীনা অর্থায়নে আটকে থাকা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নেও জোর দেওয়ার কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব।