অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ডা: শফিকুর রহমান-সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং প্রেস সচিবকে হাসপাতালে পাঠান। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে বক্তৃতা করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থা এখন বেশ ভালো। তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এখন নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।
ঘটনাটি জানার পরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং প্রেস সচিবকে হাসপাতালে পাঠান। এমন মানবিক সহমর্মিতার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জামায়াত আমির।
রোববার (২০ জুলাই) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেয়া এক পোস্টে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
ফেসবুকে তিনি লেখেন, গতকাল (শনিবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভামঞ্চে অসুস্থ হওয়ার পর মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং তার প্রেস সচিবকে হাসপাতালেও পাঠিয়েছেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তার এই সহমর্মিতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহান আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দান করুন। আমিন।
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই প্রধান উপদেষ্টার এই মানবিক আচরণকে ‘দায়িত্বশীল নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এর আগে শনিবার রাতে দেয়া এক পোস্টে জামায়াত আমির লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। এখন আমি অনেকটাই সুস্থ। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশ্রামের জন্য বাসায় এসেছি।’
ডা: শফিকুর রহমান লিখেছেন, আমার এ সাময়িক অসুস্থতার কারণে আজকের সমাবেশে যে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এটি আমার ইচ্ছাকৃত নয়। মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো কল্যাণ রেখেছেন।
অসুস্থ হওয়ার পরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশ-বিদেশে অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন ও দোয়া করেছেন। হাসপাতালে স্বল্প সময়ে থাকাকালীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদসহ নেতৃবৃন্দের একটি টিম, খেলাফত মজলিসের আমির হযরত মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের ও খেলাফত মজলিসের অন্যতম সিনিয়র নেতা আহমদ আলী কাসেমী, খেলাফত আন্দোলনের সিপি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সম্মানিত নেতৃবৃন্দ তারাও সরাসরি খোঁজখবর নিয়েছেন।
দেশ-বিদেশে অসংখ্য সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী, সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, এমনকি বাংলাদেশীদের বাইরেও অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টাসহ আরো অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন। আমি তাদের সকলের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। দোয়ার জন্য ঋণী। তাদের এ ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রতিদান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকলকে যেন দান করেন।
রাব্বুল আলামিন তাঁর এ গোলামকে বাকি জিন্দেগি তাঁর পছন্দমতো মানবতার জন্য কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :