প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতঃ বাংলাদেশ আমাদের মূল্যবান অংশীদার-কসোভোর রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুন ২৫, ২০২৫, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ /
প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতঃ বাংলাদেশ আমাদের মূল্যবান অংশীদার-কসোভোর রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা

‘জুলাই অভ্যুত্থানের’ চেতনার কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কসোভোর জনগণের স্বাধীনতা, শান্তি ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছেন।মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা।  সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কসোভোর রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের মূল্যবান অংশীদার।’ 

ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রামীণ ট্রাস্ট কসোভোর স্বাধীনতা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে সশস্ত্র সঙ্ঘাতের পর আমাদের জীবন পুনর্গঠনে গ্রামীণ কসোভো বড় ভূমিকা রেখেছে। সেই সময় বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরাও আমাদের পাশে ছিল।’

১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কসোভো বর্তমানে দেশটির সর্ববৃহৎ মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠান, যা ২০টি পৌরসভায় ২১৯টি গ্রামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এর ৯৭ শতাংশ ঋণগ্রহীতা নারী। বাংলাদেশের গ্রামীণ ট্রাস্ট এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওই সময় কসোভো ছিল একেবারে বিপর্যস্ত। পুরুষেরা তখনো ফেরেনি, কোনো মুদ্রা-ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছিল না। আমরা সেখানে শূন্য থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করি।’ সাক্ষাৎকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করতে উভয়পক্ষ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দেন।

প্রধান উপদেষ্টা তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও হালকা প্রকৌশল খাতে পারস্পরিক বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি কসোভোর বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত প্লানা দু’ দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার এবং পারস্পরিক বাণিজ্য-অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগ এবং কসোভোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে দু’ দেশের জনগণের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ ও সম্পর্ক জোরদার করা প্রয়োজন। এ জন্য স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও শিক্ষাবৃত্তি চালুর প্রস্তাবও দেন তিনি।’
ইউএনবি