ইট ভাটায় মোবাইল কোট, জরিমানা ও ভাটা ভাংচুরের প্রতিবাদে যশোরের চৌগাছায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বাজারস্থ্য ভাস্কর্য মোড়ে উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও দেওয়ান ব্রিকসের মালিক দেওয়ান তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এইচ বি ব্রিকসের মালিক আব্দুল হালিম চঞ্চল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরদার ব্রিকসের মালিক এস এম সাইফুর রহমান বাবুল, সহ-সভাপতি রাজ মল্লিক ব্রিকসের মালিক শফি উদ্দীন মল্লিক প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সদস্য ঐশী ব্রিকসের মালিক আব্দুল হামিদ মল্লিক, সানি ব্রিকসের মালিক মোঃ গোলাম রসুল, মোল্লা বিকসের মালিক রিয়াজুল ইসলাম, আরকে ব্রিকসের মালিক মারুফ হোসেনসহ বিভিন্ন ভাটার মালিক, ভাটা শ্রমিক ও সমিতিরি নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে বাজারে র্যালি বের হয়। র্যালিটি চৌগাছা-কোটচাঁদপুর সড়ক হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্তরে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা ইসলামের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সমতা রেখে বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির জিগজাগ ভাটা স্থাপন করে জ্বালানী সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভাটার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিদ্যমান জিগজাগ ভাটায় আরও অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন ইটভাটা শিল্পে দেশে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত আছে। শ্রমিকদের মাধ্যমে তাদের পরিবারের ২ কোটি মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া প্রায় প্রতিটি ইটভাটার বিপরীতে ১ কোটি টাকার উপরে ব্যাংক লোন রয়েছে। যা দেশে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। ভাটাগুলো বন্ধ হলে ব্যাংক লোন অনাদায়ী থেকে যাবে। ইটভাটার মালিকগণ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিয়ে থাকেন। তাই ভাটাশিল্পের মালিক ও ভাটা শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে আমরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :