প্রশাসনকে কলা দেখিয়ে মাটি খেকোদের মাটি বিক্রি জোরে সোরে অব্যাহত নিজামপুর ইউনিয়নে


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুন ১৩, ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ণ /
প্রশাসনকে কলা দেখিয়ে মাটি খেকোদের মাটি বিক্রি জোরে সোরে অব্যাহত নিজামপুর ইউনিয়নে

্প্রতিবেদকঃ সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নে মাটি খেকোদের দৌরাত্ত্য সীমাহীন বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বৃদ্ধির মূলে জানা গেছে বিএনপির নেতাদের দোহায় দিয়ে সরকারী নিষধাজ্ঞাকে থোড়ায় কেয়ার করে এহেন অপরাধ মূলক কার্য দেদার্সে চালিয়ে যাচ্ছে।

ফলে মাটি খেকোদের ভয়ে এলাকাবাসী সীমাহীন কষ্টে দিন যাপন করছে। বিবরণে প্রকাশ, শার্শায় অণ্যান্য ইউনিয়নের মতো নিজামপুর ইউনিয়নেও দুটি ইটভাটা রয়েছে। একটা সোনানদীয়া গাতিপাড়ায় অপরটি কন্দর্পপু্রের ইটভাটা। এ দুটি ইটভাটায় সারা বছর যে মাটি লাগে তার ষোল আনায় মাটিখেকোরা এলাকার জমি মালিকদের চাষী জমি কেটে গর্ত কিংবা পুকুর খননের লোভ ধরিয়ে কেটে চড়া মূল্যে ভাটা সহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করছে। মাটি খেকোদের এ কর্মে একদিকে যেমন আবাদী জমি কমে যাচ্ছে অপর দিকে পরিবেশ পড়ছে দারুণ ঝুঁকিতে।

বিগত সরকারের আমলে সৃষ্টি হওয়া এ অনৈতিক কর্মকাণ্ড বর্তমান অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের আমলেও বিদায়ী সরকারের চেলাচামুন্ডাদের সাথে বিএনপির  অর্থলোভী স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ যোগ সাজসে এই মাটি কাটা কাজ নির্ভয়ে অকুতোভয়ে চালাচ্ছে। যার ফলে এলাকার সদ্য সংস্কার হওয়া রাস্তা ইতোমধ্যে ফাটল ধরেছে। প্রশাসন শক্তভাবে নিষেধাজ্ঞা দিলেও মাটি খেকো দুবিত্তরা তাদের কর্ম করে যাচ্ছে। কারণ ওই যে তাদের আছে খুঁটির জোর। রাস্তা ভালো থাক আর না থাক দলীয় ক্যাডার তথা মাটি খেকোরা কোটি পতি হচ্ছে কিনা সেটিই দেখার বিষয়। দেশের পরিবেশ রক্ষণ আইনে সমগ্র শার্শার যে সব ভাটা বিদ্যমান তা আইন সম্মত কিনা প্রশাসনকে ক্ষতিয়ে দেখার জোর দাবী জানাচ্ছে এলাকাবাসী তথা শার্শাবাসী। পাশাপাশি অনতিবিলম্বে পরিবেশ নষ্টকারী ইটভাটা বন্দসহ চাষী জমি রক্ষায় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবী জানাচ্ছে। ( চলবে-)