মাঠ প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রশাসনের কেন্দ্রীয় সদর দফতর সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগীরা দাপটের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোমধ্যে মাঠ প্রশাসনে কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন এলাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা অনিয়ম ও দুনীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। এদিকে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা যশোরের ডিসি মো. আজহারুল ইসলামের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে নৃত্যের সঙ্গে পদচ্যুত ভারতে পালানো শেখ হাসিনার নামে গান বাজানো হয়েছিলো সেই ডিসিকে এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। সরকারের গোয়েন্দা রিপোর্ট আসার পরেও তাদের প্রত্যাহারে গড়িমসি চলছে।
এদিকে বর্তমানে শীর্ষ পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা কম হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদেরকে সচিবালয় এবং মাঠ প্রশাসনের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। এরইমধ্যে কয়েকটি অনুষ্ঠানে ব্যতিক্রম ঘটনায় বিব্রত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নয় দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার ইন্ধনে কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিভিন্ন দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিপাকে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৬ বছর ধরে যারা বঞ্চিত তাদের ক্ষোভ ও হতাশা আরও বাড়ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তিন মাস পূর্ণ হচ্ছে আগামী শুক্রবার।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সেই সরকার গঠনের ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিএনপি আমলে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করেছিলো। এ সরকার তিন মাসেও প্রশাসন ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে পারেনি। পতিত সরকারের কর্মকর্তারা দায়িত্বে থাকলে মাঠ প্রশাসনকে জনবান্ধব, দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক ভাবে গড়ে তোলার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব ধরনের উদ্যোগ ভেস্তে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার অনেক জেলায় সদ্য নিয়োগ পাওয়া ডিসিদের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ওই সব জেলায় মানবন্ধন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সেই সব কর্মকর্তারা এখনো বহাল রয়েছে।
প্রশাসনে গতি ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানান উদ্যোগ নিলেও এখনো তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। প্রশাসনে পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা বা ভালো পোস্টিং না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিগত সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি অংশ চরম দলবাজী করেছে। অতি উৎসাহী কিছু সরকারি কর্মকর্তা (রাজনৈতিক) দলের নেতাকর্মীদের মতো আচরণ করেছে। এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগীরা দাপটের সাথে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মচারীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে সচিবদের কাছে নয় দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় সচিবসহ দপ্তর-সংস্থার প্রধান এবং মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণ এসেছে, অনুষ্ঠানের পেছনে কারা আছে। এসব বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে শীর্ষ পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা কম হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদেরকে সচিবালয় এবং মাঠ প্রশাসনের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। এরইমধ্যে কয়েকটি অনুষ্ঠানে ব্যতিক্রম ঘটনায় বিব্রত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতেই মূলত নয় দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার পূর্ব ইতিহাস সম্পর্কে খবর নিতে হবে। বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে অতিথি হওয়া যাবে না। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, সাজসজ্জা, ব্যানার, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, ট্রফি, স্যুভেনির ও লোগো ইত্যাদিতে বিতর্কিত কারও ছবি আছে কি না, খেয়াল রাখতে হবে।
গত ২৫ অক্টোবর যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজহারুল ইসলামের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্যের সঙ্গে বাজানো গানে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ছিল। ওইদিন বিষয়টিতে বিব্রত হয়ে ডিসির নির্দেশে অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে আটক করা হয়। একপর্যায়ে আটককৃতরা আট ঘণ্টা পর মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যেসব দিবস বাতিল করা হয়েছে, সেগুলো যাতে পালন না হয় তা নিশ্চিত করা।
বাতিলকৃত দিবস বা ব্যক্তি সম্পর্কে থাকা বই, স্যুভেনির, ক্রেস্ট, স্মারক অফিসে থাকলে সেগুলো সরানোর জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লিখিত বক্তব্য প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলা হয়, সব ধরনের অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো সেøাগান বা জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া, নিজ নিজ আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মচারীরা যাতে গুজবে বিভ্রান্ত না হয় তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনে একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সচিব ইনকিলাবকে বলেন, জনপ্রশাসন থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা সচিবদের জন্য মানা সহজ। যারা মাঠ প্রশাসনে কাজ করছেন, বিশেষ করে ইউএনও, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের জন্য কঠিন হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসক ইনকিলাবকে বলেন, মাঠ প্রশাসনে কাজ করা এখন অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সাধারণত তদারকির কাজগুলো করি। এর জন্য স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। কে কখন কার সঙ্গে ছবি তুলে ছেড়ে দেয়, বলা যায় না। এখন নতুন নির্দেশনা আসায় বিষয়টি আরও জটিল হবে।
কারণ এত কিছু জেনে-শুনে কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়াটা কঠিন কাজ। তারপরও মেনে চলতে হবে। সরকারের সব সচিবদের বরাবর পাঠানো জনপ্রশাসন সচিবের নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারের এসব নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সচিব তার আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা বা অফিসের সবাইকে অবহিত করতে উপানুষ্ঠানিক চিঠি দেবেন, যাতে সব পর্যায়ের সরকারি কর্মচারী বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়র গত কয়েক দিনে জারি করা প্রজ্ঞাপন গুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, বিগত পতিত স্বৈরাচারী সরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদের ওএসডি এবং অবসরসহ বদলী করা হয়েছে। কিন্তু এখনো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থানা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফকে প্রত্যাহার করা হয়নি।
এ দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ রংপুর জেলা ডিসি থাকাকালে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মনোনয়ন পত্র জমা এবং স্বাক্ষর করেনি তারপরও রংপুর-৩ মনোনয়নপত্র বৈধ দেখিয়েছিলেন এ প্রাথমিক সচিব ফরিদ আহমেদ। হলফনামার তথ্য অনুসারে, ঢাকা-১৭ আসন থেকে এরশাদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার দেখানো হয়। এ হলফনামাটি ছিল সম্পূর্ণ।
এ আসনে ওই বছর আওয়ামী লীগেরও কোনো প্রার্থী ছিলেন না। নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ। বাকি দুটি অর্থাৎ রংপুর-৩ ও লালমনিরহাট-১ আসনে তার হলফনামা বৈধ প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে। অথচ এসব আসনে তার দেওয়া হলফনামা ছিল অসম্পূর্ণ সংসদকে জানিয়েছিলেন এরশাদ। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার বইগুলো যে ভাবে পরিবর্তন এবং শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারপরও তাকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে না।
অপর দিকে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী কার্যকলাপ ও শত শত দুর্নীতির অভিযোগ। এছাড়া ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ আবু নাছেরের ছেলে শেখ হেলাল, শেখ জুয়েল, শেখ রাসেল পক্ষে কাজ করেছেন। ছাত্র-জনতার মিছিলে বাধা দেয়ার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। হেলাল শরীফ একজন ধর্মবিদ্বেষী। এ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ৯জন ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে এক কোটি ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইআরডির উপসচিব মো. অহিদুল ইসলামকে মাগুড়ার ডিসি করা হয়েছে।
তিনি ছাত্র লীগের নেতা হওয়ায় দীর্ঘ ৫ বছর যাবত মরিশাসের ফাস্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরেও ডিসি করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ষ্টিকার গাড়ীতে ব্যবহার করে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।
সেই সময় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিলেও ৫ বছরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কারণ তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন কর্মচারী বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আলোচিত। এ কর্মকর্তাকে এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।
গত ১৬ বছরে রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো জনপ্রশাসনের জন্য সময়টি ছিলো একটি কালো অধ্যায়। মূলত স্বজনপ্রীতি ও দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন এবং সীমাহীন দুর্নীতির ফলে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। এ বেহাল অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সৎ. দক্ষ এবং দেশপ্রমিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজন। সঠিক মানুষকে সঠিক জায়গায় বদলী, পদায়ন ও পদোন্নতি দেয়া নীতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মূলমন্ত্র হওয়ার প্রয়োজন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে গত ৫ আগস্টের পর স্বৈারচারী শেখ হাসিনার সরকারের রেখে যাওয়া আমলারা প্রশাসনে এখনো প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। দুই একটি ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা সচিবরা পূর্বের ন্যায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ ও অধিদপ্তরে মধ্যসারি কর্মকর্তাদের বদলীর আদেশ পর্যালোচনা করে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পতিত হাসিনা সরকারের দোসর অদক্ষ ও দুর্নীতিবাজ এবং দলবাজ কর্মকর্তাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
আবার অনেক ক্ষেত্রে পতিত সরকারের আমলে নির্যাতিত সৎ দক্ষ ও মেধাবী সরকারি কর্মকর্তাদের অন্যায়ভাবে হয়রানিমূলক বদলী করা হচ্ছে। এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বর্তমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটি সার-সংক্ষেপ পাঠানো হলেও সেখানে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু যারা আসল ঘটনা ঘটিয়ে বিভিন্ন জেলা ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করা হয়নি বলে বঞ্চিত এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।