সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ছবি - ইন্টারনেট
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসাথে শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, তা সব মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সম্প্রতি সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে নানা কটূক্তি করেছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা, যা বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া নেতাকর্মীদের সাথে ফোনে কথা বলে সেই বক্তব্য আবার নিজেই ছড়িয়ে দিতে বলছেন। সেগুলো আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে।
প্রসিকিউশন বলছে, যে সমস্ত ‘হেইট স্পিচ’ দিচ্ছেন তা বন্ধেই এই আবেদন।
গত ১৮ নভেম্বর জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ দেড় শ’র বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। গ্রেফতার আছেন সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ ২৫ জন।