ফিলিস্তিনের যুদ্ধের দাবানল সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে ,সারাদেশে গণহত্যার নিন্দায় প্রতিবাদের ঝড়


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মার্চ ২১, ২০২৫, ৯:৪৪ অপরাহ্ণ /
ফিলিস্তিনের যুদ্ধের দাবানল সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে ,সারাদেশে গণহত্যার নিন্দায় প্রতিবাদের ঝড়

ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরাইলি হামলায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সন্ত্রাসী ইসরাইলি নেতানিয়াহুর ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আজ রাজপথে ফেটে পড়েন। ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের শাহাদাতের বদলা নেওয়ার আমরা শপথ নিচ্ছি।

তিনি জাতিসংঘকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আপনাদের স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধের দাবানল সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আরব লীগ ওআইসিকে ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করতে কুফরি শক্তির বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিতে হবে। ফিলিস্তিনি-গাজায় মুসলিম হত্যাকাণ্ড বন্ধের জন্য বাংলাদেশ থেকে মুজাহিদদের ডাক দিন।

তিনি বলেন, মাহে রমজানে ভারতের মুসলমানদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আওরঙ্গজেবের সমাধিতে একটি আঘাত করা হলে ভারত খান খান হয়ে যাবে। প্রয়োজনে আওরঙ্গজেবের সমাধি রক্ষায় ভারত অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, নীরব দর্শকের ভূমিকা এদেশের মানুষ দেখতে চায় না। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানান। ভারত সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিবাদ জানাতে হবে। বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনি ও ভারতের মুসলমানদের রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে।

আল্লামা মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতের দালালি করে আমাদের পাসপোর্ট থেকে এক্সসেপ্ট ইসরাইল লেখা তুলে দিয়েছে। বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইলকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে অবিলম্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের এক্সসেপ্ট ইসরাইল পুনর্বহাল করতে হবে। লেডি ফেরাউন হাসিনার আমলে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড, মোদির আগমনের প্রতিবাদে হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন আগুন নিয়ে খেলবেন না।

আওয়ামী লীগ এদেশের রাজনীতিতে আসতে হলে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সকল খুনীদের দ্রুত বিচার করুন। আর কোনো ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের ঠাঁই এদেশের মাটিতে হবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো ষড়যন্ত্র হেফাজতে ইসলাম দেশবাসীকে নিয়ে প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ।

সংগঠনের ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবিবের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলামের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, নায়েবে আমির মাওলানা আহমেদ আলী কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা মনির হোসেন কাসেমী, মাওলানা ফয়সাল মুফতি কামাল উদ্দিন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের গণহত্যা বন্ধ করতে পারে না, সেই জাতিসংঘ দিয়ে কোনো লাভ নেই। অবিলম্বে মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসরাইলি সকল পণ্য আমদানি বন্ধ করতে হবে। যে সব ব্যবসায়ীরা ইসরাইলের দালালি করবে তাদের উচিত শিক্ষা দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কারো কারো অন্তরে আওয়ামী প্রেম দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে যারা পুনর্বাসনের স্বপ্ন দেখছেন তাদেরকেও এদেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে ইনশাআল্লাহ। ইসরাইলের নেতানিয়াহু, ভারতের মোদি, আর ফ্যাসিস্ট হাসিনা একই সূত্রে গাঁথা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা আর ভারতে মুসলিম নির্যাতন একই সূত্রে গাঁথা। ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের ওপর ইসরাইলির চালানো বর্বর গণহত্যা বিশ্ব মানবতার জন্য কলঙ্ক। শুধুমাত্র আরব বিশ্ব নয়, মানবতার পৃথিবী তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আজ বাদ জুমা বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলা ও মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আমেরিকার উসকানিতে সন্ত্রাসী ইসরাইল ফিলিস্তিনের নির্বিচারে হত্যা করছে। ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে অনতিবিলম্বে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।