‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ‘পুরস্কার’ নয়, এটি একটি ন্যায্য অধিকার’ বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ২৯, ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ণ /
‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ‘পুরস্কার’ নয়, এটি একটি ন্যায্য অধিকার’ বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের চলমান ভয়াবহতা এবং গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে ‘পুরস্কার’ হিসেবে নয়, ‘অধিকার’ হিসেবে দেখতে হবে। তিনি সতর্ক করে দেন যে এই অধিকারকে অস্বীকার করা হলে সারা বিশ্বে চরমপন্থা আরও ফুঁসে উঠবে। 

সোমবার (২৮ জুলাই) জাতিসংঘ আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে গুতেরেস এই বার্তা দেন। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল— ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত সমাধান খুঁজে বের করা। তিনি বলেন, এখনই সময় বাস্তব ও অপ্রতিরোধ্য পদক্ষেপ নেওয়ার -সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, মানুষ আশাহত হচ্ছে, বিশ্বাসের ভিত ভেঙে পড়ছে। পরবর্তিতে তার ভ্যারিফাইড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে আবার উল্লেখ করেন এসব।

গুতেরেস গাজায় চলমান মানবিক সংকটের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এটি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে।” তিনি গাজার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে ‘ধ্বংসাত্মক এক প্রবাহ’ হিসেবে বর্ণনা করেন, যা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হতাশা আরও বাড়িয়ে তুলছে এবং শান্তির আশা ক্রমেই বিলীন করে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার অধিকার অস্বীকার করা মানে হচ্ছে পৃথিবীজুড়ে চরমপন্থীদের জন্য এক উপহার প্রস্তুত রাখা। এটি শুধু ফিলিস্তিনিদের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি।”

মানবিক সহায়তা নিয়ে গুতেরেস বলেন, “জীবন রক্ষাকারী সহায়তার ওপর যে সব বিধিনিষেধ ছিল, সেগুলোর কিছুটা শিথিল করা হয়েছে — এটা ইতিবাচক। কিন্তু এতেই সমাধান আসবে না।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের প্রয়োজন: অবিলম্বে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সব জিম্মির নিঃশর্ত মুক্তি এবং পূর্ণ মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশ্চয়তা। এসব কোনো রাজনৈতিক শর্ত নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার মৌলিক ভিত্তি।”

সম্মেলনে গুতেরেস বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “আর সময় নেই— সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনই। শান্তির পথে ফিরে আসা ছাড়া কোনো ভবিষ্যৎ নেই, না ফিলিস্তিনিদের, না ইসরায়েলিদের, না আমাদের।”