ফিলিস্তিনের সমর্থনে কথা বলার অভিযোগ ওঠায় এক গবেষককে আমেরিকা থেকে বিতাড়িত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করে দিল আমেরিকার এক আদালত। বৃহস্পতিবার আমেরিকার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অফ ভার্জিনিয়া কোর্টের বিচারক প্যাট্রিসিয়া টলিভার গাইলস তার তিন অনুচ্ছেদের নির্দেশনামায় জানিয়েছেন, আদালত পরবর্তী নির্দেশ না-দেয়া পর্যন্ত ওই গবেষককে আমেরিকা থেকে বিতাড়িত করা যাবে না।
ওই গবেষকের নাম বদর খান সুরি। ওয়াশিংটনের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পাশাপাশি সেখানকার ছাত্রদের পড়াতেন তিনি। সোমবার রাতে ভার্জিনিয়ায় নিজের বাড়ির বাইরে থেকে সুরিকে গ্রেফতার করা হয়। জানানো হয়, তার ভিসা বাতিল করা হচ্ছে। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি দফতর (ডিএইচএস) সূত্রে জানা যায়, ওই গবেষক সমাজমাধ্যমে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের পক্ষে কথা বলেছেন। সুরির বিরুদ্ধে ইহুদি-বিরোধী মন্তব্য করারও অভিযোগ ওঠে।
সুরির বিরুদ্ধে মার্কিন অভিবাসন আইনের খুব কম ব্যবহৃত একটি ধারা ব্যবহার করে ট্রাম্প প্রশাসন। এই ধারা অনুযায়ী, যে সব অভিবাসী আমেরিকার জন্য ‘ক্ষতিকর’, তাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে পারে বিদেশ দফতর।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সুরির ভিসা প্রত্যাহারে সায় রয়েছে সে দেশের পররাষ্ট্রসচিব মার্কো রুবিওর। সে দেশের বিদেশ দফতরের তরফে যুক্তি দেয়া হয় যে, ওই ভারতীয় গবেষকের কার্যকলাপই তাকে ‘বহিষ্কারের যোগ্য’ করে তুলেছে। তাই শীঘ্রই তাকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে। যদিও সুরির আইনজীবী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘জন্মসূত্রে সুরির আমেরিকান স্ত্রীর ফিলিস্তিন-যোগ রয়েছে। সে কারণেই তাকে নিশানা করা হচ্ছে।’
আপনার মতামত লিখুন :