বেনাপোল বন্দর সড়কে যানজট নিরসনে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরা আজ ব্যর্থ। আসেন আমরা যারা নিজেদের সচেতন বলে দাবি করি তারা প্রত্যেকে শৃঙ্খলা রক্ষায় পথে নেমে স্বেচ্ছা সেবকের কাজ শুরু করি। এ কাজটি করা ছাড়া বিকল্প পথ আপাতত দেখছি না। আর তা নিরসনে বর্তমানে যে কাজগুলি করা অতীব জরুরী।
তা নিম্নরূপঃ-
১) যাত্রীবাহি পরিবহন কোন ভাবে পৌরসভা বাস টার্মিনাল ছাড়িয়ে বেনাপোল শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবেনা।
২) পণ্যবাহী খালি ট্রাক বন্দরে প্রবেশের আগে পৌরসভা ট্রাক টার্মিনালে ঢুকাতে হবে। পরে পণ্য লোডের অনুমতি পেলে গেটপাশ দেখিয়ে ট্রাক টার্মিনাল থেকে বাই পাস সড়ক হয়ে বন্দরে প্রবেশ করবে।
৩) ইজিবাইকের জন্য পৌর শহরের মধ্যে মাত্র ৩ টি ষ্টান্ড রাখতে হবে। বেনাপোল শহরের পৌর গেটে একটি। বেনাপোল বলফিন্ডে পাশে একটি ও চেকপোষ্ট প্রাইমারী স্কুলের আগে একটি।
৪) এক্সপোর্টের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেই বন্দরের রফতানি টার্মিনাল ও বন্দরের নব নির্মিত বন্দর কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে ঢোকাতে হবে। রফতানির গেট পাশ পেলে তবেই সে এক্সপোর্টের উদ্দেশে রাস্তায় লাইনে দাড়াবে।
৫) আমদানি পণ্যবাহি ট্রাক ভারত থেকে বন্দরে প্রবেশ করে প্রথমে বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে ঢুকাতে হবে।
বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সরকারের ক্ষাতে যাচ্ছে বেনাপোল বন্দর থেকে। তাই স্থায়ী ভাবে যানজট মুক্ত ও নিরাপদ শহরের দাবিতে বন্দরে পণ্যের ধারন ক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে জায়গা অধিগ্রহনের মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে অবকাঠামো নির্মানে বন্দরকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
এসব কাজে সহযোগীতার জন্য বেনাপোলে নিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে নিয়ে এপথে নামতে হবে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা কেউ সহযোগীতা না করলে তাকে অপসারনের জন্য রাজপথে মানবন্ধন করতে হবে। কারন তাদের বেতনের টাকার একটি অংশ দিচ্ছে বেনাপোল বাসী।
আমাদের বিশ্বাস বর্তমান সরকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে দেশ পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তার সাথে যে সকল রাজনীতিবিদরা সহযোগীতা করছেন তারা নিশ্চয় এগিয়ে আসবেন। তাদের উপর আমাদের ভরসা আছে। আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে যদি এ কাজটি করতে পারি তবে প্রথম দিনেই ৮০ শতাংশ যানজট কমে বেনাপোলকে সুন্দর একটি বাসযোগ্য নিরাপদ শহর গড়ে উঠবে।
আপনার মতামত লিখুন :