দেশে সম্প্রতি বিদ্যুতের যে সংকট দেখা দিয়েছে তা থেকে আপাতত মুক্তি মিলছে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সীমিত রাখা হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের লোডশেডিংটা দিতেই হচ্ছে।
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ এবং ‘শেখ জামাল ডরমেটরি ও রোজী জামাল ডরমেটরি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। গ্যাসের জন্য আরও ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্বাভাবিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এজন্য বিদ্যুতের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন উপায় একটাই, এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। এখন সে দিকে নজর দিতে হবে। মানুষ যাতে প্রস্তুত থাকে এজন্য আগেই লোডশেডিংয়ের কথা জানানো হবে। এ ব্যাপারে তিনি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেলের দাম, ডিজেলের দাম বেড়ে গেছে, এলএমজির দাম বেড়ে গেছে। এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালিয়ে রাখাটাই একটা কষ্টকর। অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ফার্নেস ওয়েলের দাম ৬২ পার্সেন্ট বেড়েছে। কয়লা যা ছিল ১৮৭ ডলার, এখন ২৭৮ ডলার। ১০০ পার্সেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজেল ছিল ৮০ ডলার, এখন তা ১৩০ ডলারে চলে গেছে। এটা নাকি ৩০০ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে। একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে সারা বিশ্ব।
সরকারপ্রধান বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হলেও নিষেধাজ্ঞা না থাকলে এসবের দাম বাড়তো না। আমরা এখন ডলার দিয়েও রাশিয়া থেকে জিনিসপত্র কিনতে পারছি না।