বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে নজরদারি চালাতে তুরস্কের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করছে বাংলাদেশ। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করেছে, এসব ড্রোন বাংলাদেশ নিজস্ব ভূখণ্ডে পরিচালনা করলেও ভারত এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এএনআই জানায়, বাংলাদেশ সম্প্রতি তুরস্কের তৈরি বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন হাতে পেয়েছে এবং ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে সেগুলো পরিচালনা করছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাতে তারা দাবি করেছে, গত কয়েক মাস ধরে এসব ড্রোন ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উড়তে দেখা গেছে। এ কারণে ভারত সীমান্ত নজরদারির জন্য রাডার স্থাপনসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়েছে।
বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনটি গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি হামলা চালাতেও সক্ষম। এটি লেজার-গাইডেড স্মার্ট রকেট বহন করতে পারে, যা নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ড্রোনটি ঘণ্টায় ১২৯-২২২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে এবং একবারে ৩০০ লিটার জ্বালানিতে ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারে। এটি মূল কমান্ড সেন্টার থেকে দূরবর্তী বেজ স্টেশন বা মোবাইল ট্রাক থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের বড় সাফল্য হিসেবে পরিচিত এই ড্রোনটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংঘাতে ব্যবহৃত হয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। উন্নত সেন্সর থাকার ফলে এটি জিপিএস ছাড়াই নেভিগেট করতে পারে এবং একাধিক ব্যবহারকারী রিয়েল-টাইম ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
বাংলাদেশের সীমান্ত নজরদারি শক্তিশালী করার পদক্ষেপ সামরিক কৌশলের একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, এই ড্রোন কার্যক্রম নিয়ে ভারতও সজাগ দৃষ্টি রাখছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকলেও এই উন্নয়ন ভূরাজনৈতিক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :