দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও মামলার তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দিয়েছে দুদক।
গেল সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কাজী সায়েমুজ্জামানের নামে নালিশের পর তাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এলো। এর আগে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে মন্তব্যের কারণে সায়েমুজ্জামানের নামে গত সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, “সায়েমুজ্জামান ধারণাবশত সামাজিক মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করেছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে যে বিধিমালা রয়েছে তা লঙ্ঘন হয়েছে। “দুদক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে সায়েমুজ্জামান সেই নির্দেশনা মানছেন না।”
সোমবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, “তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসন্ধান ও তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে লেখালেখির কারণে তাকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।” তিনি বলেন, কোনো বিতর্ক যাতে না হয় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধানের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে তল্লাশি চালায়।
সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানোর পর বিকালে দুদকের পরিচালক সায়েমুজ্জমান বলেন, “যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছিলাম, তাদের নামে লকার নেই। আরও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।”
আপনার মতামত লিখুন :