বিএসএফ’র প্রতিটি অপতৎপরতা ঠেকিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তে অপ্রতিরোধ্য জনতা


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ /
বিএসএফ’র প্রতিটি অপতৎপরতা ঠেকিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তে অপ্রতিরোধ্য জনতা
  • বিএসএফের ১০ দিনের ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া চলছে, নতজানু থেকে বের হয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবেঃ মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল মতিন। নীরবতা ভেঙে সীমান্তে বিজিবিকে অস্ত্রের সঠিক ব্যবহার করতে হবেঃ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাকির হাসান। সীমান্তে এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে দেয়া হবে নাঃ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোস্তফা কামাল। 

গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টানাপড়েনে দুদেশের সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সীমান্তে ১০ দিনের ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু করেছে। ২২ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই মহড়া চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিএসএফে সীমান্তের কয়েকটি স্পটে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সীমান্তের গ্রামগুলোর বাংলাদেশের জনতা বেড়া নির্মাণ ঠেকিয়ে দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, ৫ আগস্ট দিল্লির ‘নাচের পুতুল’ হাসিনা পালানোর পর দুদেশের সীমান্তের কয়েকটি স্পটে মারমুখী যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি দিনাজপুর সীমান্তে বিক্ষোভ ও সিলেট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের প্রতিটি অপতৎপরতা ঠেকিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের আম-জনতা। অপ্রিয় হলেও সত্য, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যকা-ের পর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীর নাম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ‘টাইগার বাহিনীটি’কে ‘বিড়াল বাহিনী’ করে রাখা হয়। দিল্লির তাঁবেদার হাসিনা নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে দিল্লির পায়ের নিচে নিজেকে শঁপে দেন। কিন্তু গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পাল্টে গেছে দৃশ্যপট।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার ‘দিল্লির চোখে চোখ রেখে ঢাকার কথা বলা’ নীতি গ্রহণ করে। এতে করে সীমান্তে বসবাসরত মানুষ আরো সাহসী হয়ে উঠেন। এখন সীমান্তের যেখানেই বিএসএফ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে; সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী (বিজিবি) জওয়ানরা। তাদের সহায়তায় গর্জে উঠছেন আম-জনতা। লাঠি, ঝাড়–, দা-কুড়ালÑ হাতের কাছে যা পাচ্ছেন তাই নিয়ে সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন।

এটিই হচ্ছে ৯২ শতাংশ মুসলমানের বাংলাদেশের আম-জনতার দেশপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তান বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগারে চলে যান। আওয়ামী লীগের নেতা ও নির্বাচিত এমপিরা ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচাও’ প্রবাদের ওপর ভর করে ভারতে পালিয়ে যান। ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারে মেজর জিয়াউর রহমানের ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ শুনে দেশের ছাত্র-তরুণ-যুকব-কৃষক-শ্রমিক যার যা ছিল তাই নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রামের রৌমারীর বরইবাড়ির সীমান্তে আম-জনতার সহায়তায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী ভয়াবহ সাফল্য দেখিয়েছে; আধা সামরিক বাহিনী-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে ভারতের বাহিনী লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। নিকট অতীত গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসেও শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি যখন নির্বিচারে বেষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে মানুষের উপর গুলিবর্ষণ করে তখনো ছাত্র-জনতা লাঠি-বল্লম-ইট-পাটকেল নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।

জানতে চাইলে মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল মতিন ইনকিলাবকে বলেন, ‘আমাদের নতজানু কূটনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এখন প্রতিবাদ করা হচ্ছে, দ্রুত আরো কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। আমাদের বিজিবিকে এখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। দেশপ্রেম নিয়ে তারা (বিজিবি) সীমান্তের এসব হত্যাকা- ও অন্যায়ের কঠোর প্রতিরোধ করবে। আমরা আশা করব, বিজিবি দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা দেয়ার পাশাপাশি হত্যাকা- বন্ধে কঠোর হবে।’

স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের এক ইঞ্চি ভূমিও কেউ অন্যায়ভাবে দখল করতে পারবে না কিংবা বেদখল থাকবে না আর সে জন্য সীমান্তের সব মানুষ দেশকে পাহারায় রয়েছেন। চোখে চোখ রেখে ন্যায্য কথা বলতে পারা এবং অধিকার আদায় করার যে মনোবল সীমান্তের লাখ লাখ বাংলাদেশি আজ দেখাচ্ছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছর তা করতে সাহস পাননি তারা। দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্ত, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া সীমান্ত, নওগাঁর বস্তাবর সীমান্ত ও সিলেট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া বা মদের খালি বোতল ঝুলিয়ে রাখার ঘটনায় রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে এবং সব বিভেদ ভুলে গিয়ে দেশের স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে সবার একাট্টা হয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত আজ সারা বিশ্ব দেখছে। সীমান্তের সাধারণ মানুষের দেশপ্রেম ও সাহসিকতায় বলীয়ান হয়ে অনেকটাই আজ জেগে উঠেছেন বিজিবি সদস্যরা। তারাও বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিকদের অন্যায়ভাবে সীমান্ত দখল, কাঁটাতারের বেড়া দেয়া এবং বাংলাদেশি কৃষকের ফসল ক্ষতির প্রতিবাদ করছেন।

আজ নির্ভয় শ্যেনদৃষ্টিতে সীমান্তে বিজিবির জওয়ানরা বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পেছনে একমাত্র প্রেরণা জনগণ, নারী-পুরুষ ও শিশুরাও। দেশপ্রেমের এমন অজেয় নজির আওয়ামী সরকারের সময় সীমান্তে দেখা যায়নি। অথচ ভারত আওয়ামী সরকারের সময় সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে পেয়েছে, স্থলপথ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে, রেল ট্রানজিটও পেয়েছে। আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েও তাদেরকে নিরাশ হতে হয়নি। আর বাংলাদেশের তরফে বাস্তবতা ছিল চরমভাবে ভিন্নতর। তিস্তার পানি বাংলাদেশের কাছে ছিল অধরা। পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের ফসল নষ্ট করা, জনপদ তলিয়ে দেয়া কিংবা মানুষ ও পশুপাখির জীবন বিপন্ন করা ভারতের পক্ষ থেকে করা হয়েছে প্রতিনিয়ত।

বাংলাদেশি সাধারণ মানুষের বক্তব্য হচ্ছেÑ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশ থেকে যা দাবি করেছে, কোনো প্রকারের বাধা কিংবা প্রশ্নহীনভাবে তাই পেয়েছে। কিন্তু এখন তো ভিন্ন বাংলাদেশে। যে দেশের সরকার আদেশ করেছে, সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনী আর পিঠ নয়; বরং বুক দেখাবে। বাংলাদেশজুড়ে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান ও ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক বাংলাদেশের চেয়ে ভারতকে বেশি বেকায়দায় ফেলেছে। ভারতীয় ট্যুরিজমে এবং চিকিৎসা খাতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি ভারত ভ্রমণ করত। হোটেল-মোটেল, যানবাহন কিংবা বিপণিবিতানসহ নানা খাতে বাংলাদেশি সফরকারীদের উপস্থিতি ভারতীয় ব্যবসায়ী কিংবা জীবিকা অন্বেষণকারীদের জন্য প্রাণ-প্রবাহতুল্য রশদ যোগাত। ভারতের তুলনায় আকার-আকৃতি, অর্থনৈতিক গুরুত্বে বাংলাদেশ একটি ক্ষুদ্র প্রতিবেশী রাষ্ট্র হলেও ভারত কখনোই এ দেশের প্রভু নয়।

সম্প্রতি সময়ে বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের অন্যায়ের প্রতিবাদে স্থানীয় কৃষক-দিনমজুরসহ সর্বস্তরের শত শত সাধারণ দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। সীমান্তের সাধারণ মানুষ লাঠি, রামদা, কাস্তের মতো অস্ত্র হাতে ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে বিজিবির জওয়ানদের পাশে দাঁড়ান। একই সাথে সীমান্তে বাংকার করতেও কঠোর পরিশ্রম করেন তারা। ভারত সাময়িক কাঁটাতারের বেড়া দেয়া বন্ধ করলেও সীমান্তের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সর্তক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি-বিএসএফ সদস্যরা।

সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী তথা বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের সাথে কখনোই বন্ধুসুলভ আচরণ করেনি। বিএসএফের গুলিতে ফেলানী হত্যার দগদগে ক্ষত আমাদের বুক থেকে এখনো শুকায়নি। মস্তিষ্ক থেকে শোকের মাতম এখনো হারায়নি। ভারতের সাথে বাংলাদেশ ভিন্ন অন্যান্য যে সব দেশের সীমান্ত সংযোগ আছে সে সব দেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হত্যার সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি।

এমনকি কোথাও কোথাও ফাঁকা আওয়াজ করতেও ভয় পায় ভারত। অথচ গত ১৬ বছরে বিএসএফের গুলিতে ভারত বাংলাদেশের ছয় শতাধিক মানুষকে সীমান্তে হত্যা করেছে। এ সময় বিএসএফয়ের মুখস্থ বয়ান হিসেবে নিহতদেরকে চোরাকারবারি, গরু পাচারকারী কিংবা নেশাজাত দ্রব্য বহনকারী হিসেবে তকমা দেয়া হয়েছে। গুলিতে প্রাণ হারানো নিরীহ মানুষ, কৃষক কিংবা শ্রমিককে মিথ্যা অপবাদের দায় মাথায় নিয়েই থাকতে হয়েছে বাংলাদেশি মানুষকে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম চার হাজার ১৫৬.৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত। দীর্ঘ এ সীমান্তের বেশির ভাগ এলাকা সমতল ভূমি হলেও হত্যাকা-ের দিক থেকে দুদেশের সীমান্ত ভয়ঙ্কর। সীমান্তের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী (বিএসএফ) মানেই যেন খুনি। প্রতিদিনই সীমান্তের কোনো না কোনো এলাকায় নিরাপত্তার নামে বাংলাদেশি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটছেই।

২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রামের রৌমারীর বরইবাড়ি সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধে আম-জনতার সহায়তায় বাংলাদেশ যে সাফল্য দেখিয়েছে; সেই চেতনা বুকে ধারণ করে ফের জেগে উঠেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার লাখ লাখ বাংলাদেশি জনতা। বিএসএফ অপকর্ম করলে এখন আর পতাকা বৈঠক আর কেতাবি ভাষায় প্রতিবাদ নয়; এখন থেকে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে বিএসএফ একজন পাকিস্তানিকে হত্যা করলে জবাবে পাকিস্তান দু’জন ভারতীয় হত্যা করে; বাংলাদেশও তেমনি কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।

দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা ভাগাভাগি মূলত চার হাজার ১৫৬.৫৬ কি.মি। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দুই হাজার ২১৭ কি.মি, আসাম ২৬২ কি.মি, ত্রিপুরা ৮৫৬ কি.মি, মিজোরাম ১৮০ কি.মি, মেঘালয় ৪৪৩ কি.মি। এই সীমান্ত এলাকার বেশ কয়েকটি স্পটে ভারত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। প্রতিটি সীমান্তের আশপাশের গ্রামের মানুষ হন্তারক বিএসএফকে প্রতিহত করতে একাট্টা হয়েছে।

নো-ম্যানস ল্যান্ডে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার চেষ্টা প্রতিহত করছে। বিজিবিতে চাকরি করেছেন এমন কয়েকজন জানান, এক সময় বিডিআরের ১০ জন সদস্য বিএসএফের ১০০ জনকে প্রতিহত করত। বিএসএফ আমাদের ভয়ে আতঙ্কে থাকত। হাসিনা রেজিমে সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে বিজিবি ছিল নীরব দর্শক। কিন্তু সরকার যদি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে তাহলে বিএসএফের সদস্যরা বাড়াবাড়ি করলে তাদের রৌমারীর পরিণতি বরণ করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে সামরিক বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাকির হাসান ইনকিলাবকে বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবিকে নতজানু হলে চলবে না। বিজিবিকে অস্ত্র দেয়া হয়েছে সীমান্তের ব্যবহার করার জন্য, তা দেখানোর জন্য নয়। বিগত সরকারের সময় সীমান্তে হত্যাকা-সহ বিএসএফ যে অন্যায় করেছে তার প্রতিরোধে এখন বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে। সীমান্তে বিজিবির আসল শক্তি এ দেশের জনগণ। এটি ভুলে গেলে চলবে না। তারাই আজ রয়েছে বিজিবির পাশে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ কৃষিকাজের জন্য সীমান্তের শূন্য রেখার কাছাকাছি গেলেই বিএসএফ গুলি করে হত্যা করছে। একইভাবে ভারতীয় কৃষকও সীমান্তে শূন্য রেখার কাছাকাছি এসে কৃষিকাজ করছে। সে ক্ষেত্রে বিজিবি নীরব ভূমিকা পালন করছে। বিএসএফ যদি শূন্য রেখার কাছাকাছি গেলে বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করতে পারে তা হলে আমাদের বিজিবি অস্ত্র নিয়ে বসে আছে কেন? তাদেরও উচিত সীমান্তে অস্ত্রের সঠিক ব্যবহার করা।’ অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই বিজিবির মূল দায়িত্ব হওয়া উচিত বলে মনে করেন সামরিক এই বিশেষজ্ঞ।

অপর একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোস্তফা কামাল ইনকিলাবকে বলেন, সীমান্তে এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে দেয়া হবে না। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি এবং আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার আদায় করেছি। সীমান্তে বিজিবিকে আরো আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করে শক্তিশালী করতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবিকে অস্ত্র দেয়া হয়েছে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করার জন্য। বিগত সময়ে (বিডিআর থাকার সময়) সীমান্তের সাধারণ মানুষকে নিয়ে যেমনটি করা হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে বিজিবি সীমান্তে অন্যায়ের কঠোর প্রতিরোধ করবেÑ এটিই দেশবাসীর প্রত্যাশা।’