তানিয়া বৃষ্টির শোবিজে যাত্রা শুরু হয় মডেলিং দিয়ে। তার পর নাটক, টেলিছবি, বিজ্ঞাপন এবং চলচ্চিত্রে একে একে জায়গা করে নেন। ‘প্রেম প্রেম খেলা খেলা’, ‘সীমানা’, ‘বেইলি রোড’সহ একাধিক নাটকে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন নিয়মিত ও জনপ্রিয়। তার উপস্থিতি যেমন পর্দায়, তেমনি বিজ্ঞাপনের জগতে—যেখানে তার চেহারা এবং কণ্ঠস্বর তরুণ প্রজন্মের কাছে ভীষণ পরিচিত।
সম্প্রতি একটি নাটকের সেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তানিয়া স্পষ্ট বলেন, সংসার জীবন ও ক্যারিয়ার একসঙ্গে সামলানো খুব কঠিন। তাই যখনই বিয়ে করব, অভিনয় ছেড়ে দেব। পরিবার ও জীবনসঙ্গীকেই তখন সবচেয়ে বেশি সময় দিতে চাই।
এই বক্তব্য অনেক ভক্ত ও সহকর্মীকেই চমকে দিয়েছে। কারণ তার ক্যারিয়ার এখনো সুদৃঢ় এবং সামনে আরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তানিয়ার কাছে ‘মানসিক শান্তি’ ও ‘পারিবারিক স্থিরতা’ই এখন মূল প্রাধান্য পাচ্ছে।
তানিয়া জানান, আগামী পাঁচ বছর তিনি যতটুকু সম্ভব কাজ চালিয়ে যেতে চান। এরপর তিনি বিয়ে করে সংসারে মনোযোগ দেবেন এবং দেশের বাইরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান। তার ভাষায়, আগামী পাঁচ বছর যতটুকু কাজ করার, তা করে যেতে চাই। এরপর বিয়ে করে সংসারে মন দেব। ইচ্ছা রয়েছে দেশের বাইরে সেটেল হওয়ার।
এখানে প্রশ্ন জাগে—তানিয়া কি শোবিজ থেকে একেবারেই সরে যাচ্ছেন? নাকি বিদেশে বসেও অভিনয়ের কোনো সুযোগ খুঁজবেন? এ প্রশ্নের উত্তর সময়ই বলে দেবে।
২০১৭ সালে তানিয়া বৃষ্টি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাব্বির চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি—বিয়ের এক বছরের মাথায় বিচ্ছেদ ঘটে।
এই ভাঙনের পর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেকটা আড়ালেই ছিলেন তানিয়া। একসময় তার সঙ্গে অভিনেতা আরশ খানের প্রেমের গুঞ্জনও ছড়ায়, কিন্তু তিনি তা সরাসরি অস্বীকার করেন: “এসব গুজব।”
বিয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তানিয়া জানান, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। ভালো পাত্র পেলে এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত হলে তবেই বিয়ের কথা ভাববেন। এটি একটি পরিপক্ব অবস্থান, যেখানে তিনি বুঝেশুনে জীবনসঙ্গী বেছে নিতে চান—শুধু সামাজিক চাপের কারণে নয়।
এই সিদ্ধান্ত কেবল একটি অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার থামানোর কথা নয়। বরং এটি এক নারীর নিজের জীবনযাত্রাকে প্রাধান্য দেওয়ার গল্প। ক্যারিয়ারের শীর্ষে থেকেও তিনি সংসার ও আত্মিক প্রশান্তিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন—যা আজকের সময়েও বিরল।
আপনার মতামত লিখুন :