আঞ্চলিক যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে বাংলাদেশ ও নেপালকে ১০৩ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে বাংলাদেশ পাবে ৭৫ কোটি ডলারের মতো। বাকি অর্থ পাবে নেপাল। সেই হিসাবে, বর্তমান বাজারদরে (প্রতি মার্কিন ডলার ৯৩ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) বাংলাদেশ ৭ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকা পাবে।
বুধবার বিশ্বব্যাংকের বোর্ডসভায় এই ঋণ অনুমোদন হয়। দি এক্সেলারিটিং ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেড কানেকটিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া কর্মসূচির (প্রথম পর্যায়) আওতায় এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে।
মূল্য বাণিজ্য ও পরিবহনে খরচ এবং ট্রানজিট সময় কমানোর জন্য অটোমেশনেই বেশির ভাগ অর্থ খরচ হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও নেপালের প্রায় ১০০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রকল্পের আওতায় সিলেট-চরকাই-শেওলা সড়কের ৪৩ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। এই সড়ক দিয়ে সহজেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক যেতে পারবে।
এতে ৩০ শতাংশ সময় সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া বেনাপোল, ভোমরা, বুড়িমারী স্থলবন্দরের ডিজিটাল সিস্টেম তৈরি করা হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন করা হবে।
এই বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিপুল সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে এই অঞ্চলের দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ব্যবসা করে তাদের মোট বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ।
অথচ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই হার ৫০ শতাংশ। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য বেশি হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেমন বাড়বে, তেমনি লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ছয় গুণ বেড়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্য আঞ্চলিক বাণিজ্য ৯৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুযোগ আছে।
এদিকে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারে আসা রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৪ কোটি ১৪ লাখ ডলার অনুদান দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবির মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে সই করেন ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।