গেফার সালেম, সারসা বার্তা: ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে যশোর সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান, চামড়া পাচার রোধে বিজিবি’র কঠোর অবস্থান।

১। অদ্য ০৬ জুন ২০২৫ তারিখ ১০০০ হতে ১০২৫ ঘটিকা পর্যন্ত যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক বিএ-৬৮৫৪ লেঃ কর্নেল মোঃ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী এসপিপি, পিএসসি সিগন্যাল কর্তৃক অধীনস্থ বেনাপোল বিওপির আওতাধীন এলাকায় আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে যশোর সীমান্তে গরু চোরাচালান এবং চামড়া পাচার রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থান, সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সম্পর্কে গণমাধ্যমে ব্রিফিং করেন। উক্ত গণমাধ্যম ব্রিফিং কালে অধিনায়ক, যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) বলেন;

ক। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী। বিজিবি সীমান্তে জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যবান ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে সীমান্তে মাদকসহ সকল চোরাচালানের বিরুদ্ধে মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, মহোদয়ের “জিরো টলারেন্স”নীতি বাস্তবায়ন এর নির্দেশনা মোতাবেক যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) সকল প্রকার চোরাচালান প্রতিরোধসহ যে কোন প্রকার সীমান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

খ। আগামী ০৭ জুন ২০২৫ তারিখ মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘ঈদ-উল-আযহা-২০২৫’পালিত হবে। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হতে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করে দেশীয় খামারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য, বিজিবি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। একইভাবে কোরবানী পরবর্তী সময়ে কোরবানীর পশুর চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যেতে না পারে, সেজন্যও সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বিজিবি।

গ। এছাড়াও, ঈদ-উল-আযহার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামায়াত ইত্যাদির নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর থাকবে।

ঘ। সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পুশইন রোধে বিজিবি নিয়মিতভাবে বিএসএফের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ কর্তৃক পুশ-ইন হলেও যশোর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূ্র্ণ সীমান্ত দিয়ে এখন পর্যন্ত পুশ-ইন এর মত ঘটনা ঘটেনি। তবে পুশইন, চোরাচালান ও চামড়া পাচার রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

২। পরিশেষে তিনি সীমান্ত সুরক্ষা ও সীমান্ত অপরাধ দমনে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।