নিজস্ব প্রতিবেদক: বেনাপোল হতে বিজিবি কর্তৃক বিশেষ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে এসএ পরিবহনের কার্গো ট্রাক হতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ী, থ্রি-পিস, চকলেট, জিরা, কিশমিশ, কম্বল, তৈরী পোশাক এবং বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করেছেন।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক, লেঃ কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, এসপিসি, পিএসসি গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বেশ কিছুদিন যাবত চোরাকারবারীরা সাধারণ পণ্যের অন্তরালে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনায়নকৃত ভারতীয় শাড়ী, তৈরী পোশাক, কম্বল এবং বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী বেনাপোল হতে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে আসছিল। একই সাথে এসএ পরিবহন শুল্ক আরোপকৃত বৈধ পন্যের সাথে এ সকল চোরাচালানকৃত অবৈধ পন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল। এ ধরনের চোরাচালান রোধে বিজিবি নিরলসভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় চোরাচালানী পণ্য পাচার রোধে ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি এবং পুলিশ এর সমন্বয়ে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে।
গত (২৩ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার রাত ১০.৩০ মিনিটে একটি তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত টাস্কফোর্স অভিযানে সিনিয়র এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান, নাভারণ সার্কেল, যশোর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান, শার্শা উপজেলা, সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ, যশোর ব্যাটালিয়ন(৪৯ বিজিবি), মোঃ রাসেল মিয়া, অফিসার ইনচার্জ, বেনাপোল পোর্ট থানা এবং কে এম রবিউল, অফিসার ইনচার্জ, শার্শা থানা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
টাস্কফোর্সের মাধ্যমে যশোর জেলার শার্শা থানার বিজিবি’র আমাড়াখালী চেকপোস্টের সামনে এসএ পরিবহনের একটি কার্গো ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ড-১৪-০১৭০) তল্লাশি করে ভারতীয় ৮৮২টি শাড়ী, ৪৫৩টি থ্রী-পিস, ২৪৯টি তৈরী পোশাক সামগ্রী, ০৪টি কম্বল, ১৮ প্যাকেট কিশমিশ, ১৪ প্যাকেট জিরা, ২৩ জোড়া স্যান্ডেল, ৪৮টি রিয়েলমি হেডফোন, ৩৭১৬০টি বিভিন্ন প্রকার চকলেট এবং ৬৪৬টি বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী এর বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্য (ছিয়াশি লক্ষ ছয় হাজার চারশত পচাত্তর) টাকা।
এছাড়াও বৈধ কাগজ পত্র থাকায় বিভিন্ন প্রকার মোটর পার্টস, কমলা, খেজুরের গুড়, আইপিএসসহ অন্যান্য মালামালের এসএ পরিবহন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। চোরাচালান এ দেশের অগ্রগতি পথে এক বিরাট বাধাঁ স্বরুপ। চোরাচালান প্রতিরোধের পাশাপাশি রাজস্ব আহরণে সরকারকে সহযোগিতা করাই বিজিবি’র মূল উদ্দেশ্য। একই সাথে অবৈধ ভারতীয় পণ্য জব্দ করণে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। ভবিষ্যতে চোরাচালান রোধে এ ধরণের টাক্সফোর্স অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে অবহিত করেন।
টাস্কফোর্সের মাধ্যমে জব্দকৃত চোরাচালানী মালামাল বেনাপোল কাস্টমে জমা করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :