স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের বেনাপোলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে এসছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ ।
সোমবার বেলা ১১ টায় তিনি বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামে আব্দুল্লাহ এর বাড়িতে যান।এসময় কবর জিয়ারত করেন ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং আব্দুল্লাহর শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে দীর্ঘক্ষন কথা বলেন। আব্দুল্লাহর পরিবারের পক্ষ থেকে যে কোন একজন সদস্য কে সরকারী চাকুরী দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা প্রশাসক যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহমেদ,বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার কামরুজ্জামান, শার্শা পুলিশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. রাজিব হাসান, শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত,কেন্দ্রীয় জামায়াতে কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান,যশোরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থি’ত ছিলেন।
এসময় উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, শুধু ৫ আগস্ট না গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ যে হত্যা ,গুম,অর্থ পাচার করেছে প্রতিটির বিচার করা হবে। শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার বিষয়টি চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আওয়ামীলীগের মন্ত্রী এমপি সহ বেশ ক’জনকে অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ পুলিশের গুলিতে আহত হন। প্রথমে তাকে মিটফোর্ড পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রপচার করে তার মাথা থেকে গুলি বের করা হয়।
১০ আগস্ট তাকে জোরপূর্বক ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।গত ১২ আগস্ট সকালে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা মাথার ভেতরে ইনফেকশন দেখতে পান যা তরল প্লাজমার মত গলে গলে পড়তে থাকে। এ অবস্থায় গত ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান।