বেনাপোলে বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব ‘কঠিন চীবর দানোৎসব’ অনুষ্ঠিত


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ৭:১৬ অপরাহ্ণ /
বেনাপোলে বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব ‘কঠিন চীবর দানোৎসব’ অনুষ্ঠিত

 বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোলে বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর-২০২৫) সকাল ৯টার সময় বেনাপোল পৌরসভার গাজীপুর ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী বৌদ্ধ বিহারে চতুর্থ বারের মতো তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধের প্রশংসিত বৌদ্ধদের দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

বেনাপোলে বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা স্বপন বড়ুয়ার সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ দানোৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পুলিশ সুপার রওনক জাহান।

অনুষ্ঠানটির উদ্বোধক ছিলেন বেনাপোল স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শীল রক্ষিত ভিক্ষু এবং প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন ভারতের কোলকাতার টালিগজ্ঞ ম্যুর এভিনিউ বুদ্ধ সমিতির সভাপতি ভদন্ত ড. অরুন জ্যোতি মহাথের।

ঢাকার আশলিয়ার বোধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্র ও বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক প্রধান ভদন্ত বোধিমিত্র মহাস্থবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দানোৎসবে মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্রগামের বায়েঅজিদ থানা কেন্দ্রীয় শান্তিকুঞ্জ বৌদ্ধবিহারের উপ-বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত মেত্তাবিহারী ভিক্ষু।

অনুষ্ঠানে যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়াজ মাখদুম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, “বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব পালনে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যেন কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া ইমিগ্রেশন পারাপার ও উৎসব পালন করতে পারেন, সে বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলীম, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (উপ-পুলিশ পরিদর্শক) মানিক কুমার সাহা, ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই জাহিদুল ইসলাম, বেনাপোল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ বকুল মাহবুব, সিএন্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান, ফনীল বৌদ্ধসহ সহ¯্রাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ।

‘নমো বুদ্ধায়’ উচ্চারণের মাধ্যমে তিনবার সংকল্প ও আরাধনার মধ্য দিয়ে উৎসবের মূল পর্বে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন হয়।

সার্বিক বিষয়ে কথা হয় বেনাপোল বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা স্বপন বড়ুয়ার সাথে। তিনি জানান, এ অনুষ্ঠান শেষে দেড় সহস্রাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে গেছেন ধর্ম প্রচার ও উপসানালয়ে।