নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ও এমপক্সের পর এবার নতুন ভাইরাস হিউম্যান মেটোপনিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ এসেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভাইরাসটি দেখা দেয়ায় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন সচেতনমূলক পরামর্শ দেয়া শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী পাসপোর্টধারীদের।

এইচএমপিভি সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মানার ওপর জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

তথ্য মতে জানা যায়, অতিরিক্ত মাত্রায় পরিবেশ দূষণ জলবায়ু পরিবর্তনে দিন দিন বিশ্ব মানব সভ্যতা ও জীব বৈচিত্র্যের জন্য বড় ধরনের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালে পুরো এক দশক ধরে বিশ্ব বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয়েছে। দীর্ঘ ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তার করা করোনা ভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আবারও দেখা দিয়েছে এইচএমপিভি নামের ভাইরাসটি।

২০০১ সালে ভাইরাসটি প্রথম দেখা যায়। সম্প্রতি সংক্রমণ ছড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চীনে এইচএমপিভি ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে সেটি জাপান, মালয়েশিয়া ও হংকংয় ও ভারতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই ভাইরাস বিশেষ করে ছোট শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রভাবিত করছে। চিকিৎসক-ব্যবসাসহ নানান কাজে প্রতিদিন বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিপুল পরিমাণে পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকে।

এসব যাত্রীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হচ্ছে। মাস্ক পরা, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান,সর্দি,কাশি ও জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শের অনুরোধ করা হচ্ছে। আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে সংক্রমণ এড়িয়ে নিজেকে ও দেশকে সুরক্ষিত রাখা যাবে বলছেন চিকিৎসারা।

ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী আকাশ রায় জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন, ফেরার পথে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ভাইরাসটি থেকে নিরাপদ থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ   (ওসি) ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূইয়া জানান, ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছেন। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের কেউ আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করছেন ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ।

ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, এইচএমপিভি সংক্রমণ রোধে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এইচএমপিভি ভাইরাসের আগে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে মাঙ্কিপক্স, ওমিক্রন, করোনা, নিপা ও জিকা ভাইরাস রোধে সতর্কতা নেয়া হয়েছিল।