বেনাপোল চেকপোষ্টে দুর্ধর্ষ চুরির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চোর গ্রেফতার


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : আগস্ট ২, ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ণ /
বেনাপোল চেকপোষ্টে দুর্ধর্ষ চুরির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চোর গ্রেফতার

চেকপোস্ট প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর চেকপোষ্ট এলাকার আক্তার নামের এক ব্যবসায়ীর দোকানের তালা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

গ্রেফতারকৃত চোর সাজু শার্শার রামপুর গ্রামের মমতাজ রহমানের ছেলে।

শনিবার দুপুরে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ শার্শার একটি মাছের ঘেরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় তার অনান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মো: রাসেল মিয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে বেনাপোল চেকপোষ্টের সাদিপুর রোডের আক্তার হোসেন এর ফ্লাক্সি লোডের দোকান থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল চুরি হয় । এই মর্মে বন্দর চেকপোষ্ট ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আজিজুল হক ও দোকান মালিক আক্তার হোসেন তাকে ঞটনা অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ ও চুরি যাওয়া মোবাইল নাম্বার ট্রাক করে স্থান সনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার দুপুরে জনবসতিহীন একটি মাঠের মধ্যে মাছের ঘেরে অভিযান চালিয়ে মুল অভিযুক্ত চোরকে ধরা হয়। এসময় চোরদের আস্তানা থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি, রড, রেঞ্জ, চাকু সহ আরো দেশীয় কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতের স্বীকারোক্তিতে সে জানায় টাকা সে তার সহযোগী রুবেল নামে আর একজনের কাছে রেখেছে। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে পারলে টাকা উদ্ধার সম্ভব হবে বলে জানান ওসি।

বেনাপোল বন্দর চেকপোষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল হক জানান, বিকাশের দোকানে চুরির ঘটনা প্রতিষ্ঠানের মালিক আক্তার তাকে জানালে তিনি ব্যবসায়ী সমিতির লোকজনদের সাথে নিয়ে সাথে সাথে দোকানে যান। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোকান মালিককে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানায় দ্রুত চোরকে ধরার জন্য। পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রাসেল মিয়া আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চোরকে গ্রেফতার করে খবর দেন।
ব্যাবসায়ী সমিতির এই সভাপতি আরো জানান, পুলিশের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, এই চোর চক্রের আরো কয়েকজন সদস্য রয়েছে। যাদের পেশা চুরি,ডাকাতি। লোকালয় থেকে দূরে মাছের ঘেরে আস্তানা বানিয়ে সেখানেই তারা পরিবার ছাড়ায় বসবাসও করতো। পুলিশ তাদের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে। টাকা উদ্ধারে চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ধরনের ক্ষতি এড়াতে আগামীতে সবাইকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখার অনুরোধ জানানো হয় ব্যবসাযী সমিতির পক্ষ থেকে।