বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য ঘাটতি ৭৬ হাজার মেট্রিক টন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ২০২৪ সালে ভারত থেকে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে।
২০২৩ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৯ মেট্রিক টন। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আমদানি পণ্যের পরিমাণ কমেছে ৭৫ হাজার ৭৪৬ মেট্রিক টন। ব্যবসায়ীরা জানান, ডলার সঙ্কট, যুদ্ধ, বৈশিক মন্দা আর বাণিজ্যে নানান প্রতিবন্ধকতা এ অবস্থার জন্য দায়ী।
বন্দর সূত্র জানায়, ১৬টি বন্দরের সাথে ভারতের সঙ্গে আমদানি রফতানি বাণিজ্য সক্রিয়ভাবে চলছে। ভারতের সাথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। ২০২৪ সালে বৈশ্বিক মন্দায় ডলারের সঙ্কটের কারণে কমে আসছে আমদানির পরিমাণ। এছাড়া দ্রæত পণ্য ছাড়করণ ও অবকাঠামোগত নানান সমস্যাও বাণিজ্য ঘাটতির কারণ হয়ে উঠে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাণিজ্য সম্প্রসারণে নানান উদ্যোগ নেয়।
গত মাসে বেনাপোল বন্দরের শূন্য রেখায় চালু করা হয় কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল ও বন্দরে বসানো হয় স্ক্যানিং মেশিন। দ্রæত পণ্য খালাস ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের উদ্যোগে কমিটি গঠন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়। এতে বর্তমানে বাণিজ্যে অনেকটা গতি ফিরেছে। কমেছে হয়রানি। যা সামনের দিনে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমদানি-রফতানি বাড়াতে বড় ভ‚মিকা রাখবে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পকলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাকের কাঁচামাল, শিশু খাদ্য, টায়ার, মেশিনারিজ, ওষুধের কাঁচামাল, কেমিক্যালসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আর রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট, পাটের তৈরি পণ্য, গার্মেন্টস, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, টিসু, মেলামাইন, মাছ উল্লেখ্যযোগ্য।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, গত বছরে ভারত থেকে আমদানি হয় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং ৮ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি হয় ভারতে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেশিরভাগ আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। তবে দ্রæত পণ্য খালাসসহ নানান প্রতিবন্ধকতা বন্ধ হলে বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে আমদানি ও রাজস্ব বাড়বে।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর মামুন তরফদার জানান, ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। পূর্বের চেয়ে বন্দরে ধারন ক্ষমতা বেশি। অবকাঠামো উন্নয়ন বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রাখবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সদস্য কাজী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাণিজ্য সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ইতোমধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ শুরু করেছে। আশাবাদী সামনের দিনে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সহজীকরণে এ উদ্যোগ বড় ভূমিকা রাখবে।
আপনার মতামত লিখুন :