নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
(১৯ নভেম্বর) মঙ্গলবার যশোর বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল সোমবার রাতে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এক ব্যক্তি ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ প্রেক্ষিতে রাত সাড়ে ১১টার শিকারপুর বিওপির টহলদল সীমান্তবর্তী বেতনা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই স্থান থেকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরনকে আটক করা হয়।
আটককৃতের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, তিনি স্থানীয় রামচন্দ্রপুর গ্রামের মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নূর নবীর মাধ্যমে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যাওয়ার জন্য চুক্তি করে সীমান্তে এসেছিলেন।
জানা যায়, কিরণ গাজীপুর সিটি করেপোরেশনের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড টঙ্গীর সাবেক কাউন্সিলর ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই বারের ভারপ্রাপ্ত মেয়র। তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে কিরণ কাউন্সিলর হন। সেই মেয়াদে নির্বাচিত মেয়র বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নানকে মিথ্যা মামলায় জেলে দিয়ে কিরণ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে বসেন। মেয়র মান্নান জামিন পেলেও একাধিকবার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে ২৭ মাস দায়িত্ব পালন করেন কিরণ। পরবর্তী সময় আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম মেয়র হলে ২০২১ সালে তাকে সরিয়ে আবার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে তিনি চেয়ারে বসেন। দুই মেয়াদে প্রায় একটি পূর্ণ সময়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
গাজীপুর মহানগরের মানুষ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টাকা ও ক্ষমতা খেকো হিসেবে কিরণকে চেনে। বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক কিরণের দেশে-বিদেশে একাধিক বাড়ি ও দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ রয়েছে। টঙ্গী, গাজীপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় কিরণের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে।