বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে সহায়তা প্রদানের সময় প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ, কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভিসির নির্দেশে সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভিসি নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন। পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সাড়ে সাত লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’

এসময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেকদিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। সে সময় আমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন ভিসি। আমাদের খোঁজ নেন। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। সন্তানকে তো আর ফিরে পাব না। আমাদের পরিবারের একজনকে একটা চাকরি দিলে হয়তো একটু ভালোভাবে চলতে পারব। প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন। এছাড়া পরিচিত ও অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন।’

সাঈদের বাবা আরও বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরা ছিল আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় চলতাম আমরা। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের কোনো সান্ত্বনা নেই। বাবা হয়ে সবচেয়ে ভারী কাজ হলো সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া।’

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ। তিনি ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।