নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত আবদুল্লাহ (২৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মারা যান তিনি। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন আবদুল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্যরা এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক কাজী সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আবদুল্লাহর বাড়ি যশোরের বেনাপোল পৌরসভার ৯ নং বড় আঁচড়া গ্রামে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে। এমন অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন।
কপালের মাঝ বরাবর গুলি লাগলেও সৌভাগ্যক্রমে অল্পের জন্য মস্তিষ্ক রক্ষা পায়। রাত তিনটায় সার্জারি শুরু হয়ে ভোর ছয়টায় শেষ হয়। অপারেশন সফল হলে এক পর্যায়ে বেশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান আব্দুল্লাহ। কিন্তু কিছুদিন পরেই তার প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয়। এরপর আবার তাকে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়। চিকিৎসকরা তার মাথায় ইনফেকশন দেখতে পান। তাই আবার সার্জারি করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু তেমন উন্নতি না হওয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহায়তায় তাকে গত ২২ আগস্ট ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। প্রাথমিকভাবে কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন পরেই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া লাগে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বাদ মাগরিব কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আব্দুল্লাহ’র জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :