ভরামৌসুমেও খুলনার বাজারে ইলিশের দাম চড়া, ক্রেতার নাগালের বাইরে


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : আগস্ট ৩, ২০২৫, ৯:১০ পূর্বাহ্ণ /
ভরামৌসুমেও খুলনার বাজারে ইলিশের দাম চড়া, ক্রেতার নাগালের বাইরে

ভরামৌসুমেও ইলিশের আশানুরূপ সরবরাহ নেই খুলনার বাজারে। চাহিদার তুলনায় যোগান কমেছে প্রায় ৯০ শতাংশ। ফলে দাম বেড়ে হয়েছে আকাশচুম্বী। এতে করে ইলিশ কিনতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অনেককে, কেউবা আবার সাধ্যানুযায়ী অল্পতেই তুষ্টি মেটাচ্ছেন।

খুলনার রূপসা মৎস্য আড়ত ও ৫ নম্বর ঘাট পাইকারী মৎস্য আড়তে দেখা যায়, ভোর থেকেই ইলিশ কেনার জন্য ভিড় জমেছে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের। এ আড়তে প্রতি কেজি জাটকা ইলিশ ৭০০-৯০০ টাকায়, ৫০০-৬০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ৭০০ টাকায়, ৭০০-৮০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ৮০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার ও রূপসা কেসিসি মার্কেটে প্রতি কেজি জাটকা ইলিশ ৯০০-১ হাজার টাকায়, ৫০০-৬০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়, ৭০০-৮০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর রূপসা খুচরা বাজারের বিক্রেতা মো. মাসুদ বলেন, চাহিদা বেশি কিন্তু সরবরাহ কম। আমরা বেশি দামে কিনে আনতে হয়, তাই বিক্রিও বেশি দামে করতে হয়। খুচরা ইলিশ বিক্রেতা আশেক ইলাহী জানান, সামনে সরবরাহ বাড়লে প্রতি কেজিতে ৩০০-৪০০ টাকা দাম কমতে পারে। একই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রূপসা মৎস্য আড়তের মেসার্স মদিনা ফিসের মালিক আবু মুসা।

তিনি জানান, আগের তুলনায় কিছুটা সরবরাহ বেড়েছে এবং দামও কিছুটা কমেছে। তবে এখনো তা অধিকাংশ ক্রেতার নাগালের বাইরে। পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা জানান, ইলিশ এখন সরাসরি বরিশাল, ভোলা, কুয়াকাটা, চর দোয়ানি ও আলীপুর থেকে ট্রাকে করে খুলনায় আনা হচ্ছে। সরবরাহের ব্যয় বাড়ায় ইলিশের মূল্যও বেড়েছে।

৫ নম্বর ঘাট পাইকারী মৎস্য আড়তের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেখ সাইদুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় মাছের সরবরাহ প্রায় ৯০ শতাংশ কম। মাছ গাড়িতে করে আনা হচ্ছে, এজন্য দামও বেশি। খুলনার রূপসা পাইকারি মৎস্য বাজারের সাধারণ সম্পাদক মো. হায়দার আলী জানান, মাছের চাহিদা বেশি। কিন্তু সেভাবে মাচ আসছে না। ফলে দাম বেশি।

অন্যদিকে, বাজারে আসা ক্রেতারা দাম দেখে হতাশ। ময়লাপোতা বাজারে আসা ক্রেতা স্বপ্ন কুমার বলেন, চাহিদা অনুযায়ী কেনাকাটা করতে পারিনি। দাম অনেক বেশি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, যদি বরিশাল ও ভোলার দিক থেকে মাছের সরবরাহ নিয়মিত থাকে, তাহলে আগামী সপ্তাহগুলোতে ইলিশের দাম কিছুটা কমে আসবে এবং সাধারণ ক্রেতাদের নাগালে আসবে।