বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দেশের শতভাগ এলাকা এখন বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আওতায় এবং চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাও অনেক বেশি।
এ দাবি সত্ত্বেও সম্প্রতি পাঁচটি বেসরকারি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ আরো দু'বছর বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি অনুসারে চলতি বছরের শেষের দিকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করতে যাচ্ছে।
আবার সরকার একদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য রাত ৮টার পর শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। অন্যদিকে বেশ কিছু বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে অলস বসিয়ে রেখেই প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছে, যার আনুষ্ঠানিক নাম ক্যাপাসিটি চার্জ।
এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে গত ২০২০-২১ অর্থবছরেই ৩৭টি বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বছরের বেশির ভাগ সময় অলস বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ১৩ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা পিডিবিকে।