ভারতীয় পুরোহিতের যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন মালেশিয়ান অভিনেত্রী


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ১০, ২০২৫, ৬:২৮ অপরাহ্ণ /
ভারতীয় পুরোহিতের যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন মালেশিয়ান অভিনেত্রী

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার একটি মন্দিরে আশীর্বাদ দেওয়ার নাম করে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেওয়াহস যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে এক ভারতীয় পুরোহিতের বিরুদ্ধে। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে মিস গ্র্যান্ড মালয়েশিয়া ২০২১ খেতাবজয়ী অভিনেত্রী লিশাল্লিনি কানারানের সঙ্গে। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় অভিযুক্ত পুরোহিতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মালয়েশিয়ান পুলিশ।

ভয়াবহ এই যৌন হেনস্তার ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ জুন সেপাং জেলার মারিয়াম্মান মন্দিরে। যা কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই অবস্থিত। ওইদিন মন্দিরে একা গিয়েছিলেন লিশাল্লিনি।

অভিনেত্রী জানান, মন্দিরের এক পুরোহিতের সাহায্যে তিনি সাধারণত পূজার নিয়মকানুন শিখতেন। সেদিনও সেই পুরোহিত তাকে বলেন, তার জন্য পবিত্র জল ও সুরক্ষা সূত্র এনেছেন আশীর্বাদ হিসেবে। পরে লিশাল্লিনিকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে যান ওই ব্যক্তি।

নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিশাল্লিনি জানান, কিছুটা অস্বস্তি সত্ত্বেও তিনি পুরোহিতের ঘরে যান। সেখানে পুরোহিত তার গায়ে ও মুখে বারবার জল ছিটিয়ে দিতে থাকেন, এমনকী চোখ খোলার অবস্থাও ছিল না তার।

এরপর ওই ব্যক্তি তাকে পোশাক তুলতে বলেন। লিশাল্লিনি জানান, তিনি সেটা না মানায় পুরোহিত তাকে কটাক্ষ করেন ও হঠাৎই তার জামার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে স্পর্শ করতে থাকেন।

নায়িকার ভাষ্যে, “আমার মাথায় হাত রেখে প্রার্থনা করার মতো কিছু একটা বলছিলেন। এরপর হঠাৎই আমার পোশাকের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেন তিনি। আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম”।

এই ঘটনায় নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেন লিশাল্লিনি। পরে তার মা ভারত থেকে ফিরে এলে তিনি ঘটনাটি জানান। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে গত ৪ জুলাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পরে জানা যায়, অভিযুক্ত পুরোহিত ভারতীয় নাগরিক এবং মন্দিরের মূল পুরোহিত বিদেশে থাকায় সাময়িকভাবে তার দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সেপাং জেলার পুলিশ প্রধান এসিপি নরহিজাম বাহামান মালয় মেল-কে জানান, “অভিযুক্ত ভারতীয় নাগরিক। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ, তিনি মুখ ও গায়ে পবিত্র জল ছিটানোর নামে ভুক্তভোগীকে স্পর্শ করেন।”

এদিকে লিশাল্লিনির অভিযোগ, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও কেউ অভিযোগ তুলেছিলেন, কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চেপে গিয়েছিল। তার কথায়, “যেখানে নিজেকে সবথেকে নিরাপদ ভাবতাম, সেখানেই এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতেই পারিনি। এই বিশ্বাসঘাতকতা সবচেয়ে বড় আঘাত।”