অধিকৃত কাশ্মিরের আকাশ থেকে পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর চারটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান। বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। অধিকৃত কাশ্মিরের আকাশ থেকে পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর চারটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান। বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানি বিমান বাহিনী সময়মতো ও দক্ষতার সাথে পদক্ষেপ নেয়ায় ভারতীয় জেটগুলো পালিয়ে যায়।’ এ সময় পাকিস্তান যেকোনো ভারতীয় আগ্রাসনের জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত বলেও জানানো হয়।
ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে চায়। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, পাকিস্তান নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে, যা থেকে ইঙ্গিত মিলছে যে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক আগ্রাসন চালাতে পারে।
তারার বলেন, ‘পেহেলগাম হামলাকে ঘিরে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে চায়। তবে ভারতের যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তান এই অঞ্চলে ভারতের স্ব-আরোপিত বাদি, বিচারক ও জল্লাদের ভূমিকাকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করে। পাকিস্তান নিজেই দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে উগ্রবাদের শিকার। আমরা যেকোনো ধরনের উগ্রবাদের তীব্র নিন্দা করি।’
আইএসপিআরের পক্ষ থেকে ভারতীয় উগ্রবাদের প্রমাণ উপস্থাপন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় উগ্রবাদের প্রমাণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেহেলগাম হামলার সাত দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। বরং ভারত নিজেই উগ্রবাদে জড়িত।’
তিনি জানান, ২৫ এপ্রিল ঝিলামের কাছে একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে ভারতীয় প্রশিক্ষিত উগ্রবাদী আব্দুল মাজিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার থেকে আড়াই কেজি বিস্ফোরক, একটি ভারতীয় তৈরি ড্রোন এবং ১০ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
চৌধুরী বলেন, এই উগ্রবাদীর হ্যান্ডলার একজন ভারতীয় সেনাসদস্য। তাদের কথোপকথনের রেকর্ড উগ্রবাদীর মোবাইলে পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তার যোগাযোগ ছিল ভারতের সুবেদার সুখবিন্দরের সাথে।
এপ্রিলের হামলা ও ভারতের তড়িঘড়ি অভিযোগ। ২২ এপ্রিল অধিকৃত কাশ্মিরের পেহেলগামের একটি পর্যটনকেন্দ্রে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ২৬ জন নিহত হন। ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভারত কোনো তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষারোপ করে। তবে পাকিস্তান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, পেহেলগাম হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত হলে তারা পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান আমেরিকার। পেহেলগাম হামলার পর উদ্ভূত উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র টিমি ব্রুস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘কাশ্মির পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের উভয়ের সাথেই আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। আমরা চাই না উত্তেজনা আরো বাড়ুক।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আজ বা আগামীকাল পাকিস্তান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে কথা বলবেন। এছাড়া অন্যান্য বিশ্বনেতারও এই ইস্যুতে উভয় দেশের সাথে যোগাযোগে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সূত্র : জিও নিউজ