নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি পুরোপুরি শুল্ক প্রত্যাহারও করে নিয়েছে। সম্প্রতি শুল্ক প্রত্যাহার করে চাল আমদানির এ অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে আমদানির খবরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বন্দরের ১৩ জন আমদানিকারক প্রায় ৯১ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
জানা যায়, ইমপোর্ট পারমিট পাওয়ার পর এসব চাল আমদানি শুরু করবেন ব্যবসায়ীরা। আগামী সপ্তাহে বাজারে আসতে পারে ভারত থেকে আমদানিকৃত এ এসব চাল।
রোববার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ অফিস।
হিলি স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক বলেন, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি আমদানির নিতে শুরু করেছেন। তবে চাল আমদানিতে যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তা খুবই কম। কারণ আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে বাজারজাত করতে হবে। এ ছাড়াও এবার আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া আছে। যে প্যাকেটে চাল আমদানি করা হবে সেই প্যাকেটেই বাজারে বিক্রি করতে হবে এবং প্রতিদিনের আমদানি, বিক্রি ও মজুদের তথ্য স্থানীয় খাদ্য অফিসে জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি উজ্বল বিশ্বাস জানান, চাল আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট পেলে আমদানিকারকরা চাল আমদানি শুরু করবেন।বেনাপোল বন্দর পরিচালক মোঃ মামুন কবির তরফদার জানান, বন্দরে চাল প্রবেশ করলে দ্রুত যাতে ব্যবসায়ীরা ছাড় করাতে পারেন সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।