একের পর এক গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার আপ্রাণ চেষ্টায় নেমেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ভারতের পরিকল্পনায় তার নাশকতা প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনা চলছে। মা খুনি হাসিনার পতন ও ভারতের পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১ বছরে বহুবার ভুয়া তথ্য দিয়ে পোস্ট করে তা আবার মুছে ফেলে জয়। এসব কারণে মানসিকভাবে আসলে সে কতটা সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
সচেতন মহল বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে অন্তবর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিত্তিহীন তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে। দেশের বাইরে পালিয়ে থেকে তার এই ধরনের কর্মকাণ্ড আওয়ামীলীগের দেশে থাকা নেতাকর্মীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পতিত স্বৈরাচার গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশোধ নিতে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে ভুক্তভোগী বানানোর ষড়যন্ত্র করছে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ভেরিফাইড আইডিতে একটি ভুয়া পোস্ট শেয়ার করে তা মুছে ফেলে। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পোস্টটিতে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়। সহিংসতা উস্কে দেওয়ার পাশাপাশি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শিক্ষার্থীর বেশ ধারণ করে নামানো হয় মাঠে।
গত ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী হতাহত হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় ৩২ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে জয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষার্থীদের নিহত হওয়া নিয়ে একটি পোস্ট দেয়, যা পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হওয়ায় সে মুছে ফেলে। তার এই ভুয়া তথ্য শেয়ার করার বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং তাকে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন।
এর আগে ৯ জুলাই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে হাসিনার গুলির নির্দেশ দেওয়ার প্রমাণ নিয়ে বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হিসেবে খ্যাত জয়। বাংলা ও ইংরেজিতে পোস্ট করে লেখে, ‘বিবিসিতে প্রচারিত অডিও রেকর্ড হলো ২০১৬ সালের ১লা জুলাইয়ের। সেদিন গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি দমনের অপারেশন থান্ডার বোল্ট পরিচালিত হয়েছিল। ২০১৬ সালের জঙ্গি দমনের নির্দশনাকে বিশ্ববাটপার ইউনূস গং ২০২৪ সালের অডিও হিসেবে বিবিসি-কে গলাধ:করণ করিয়েছে। বিবিসির জন্য লজ্জা।
সাংবাদিক রাজিব আহমদ লিখেছেন, সজীব ওয়জেদ জয় ফেসবুক এবং এক্সে (টুইটারে) ভিডিও পোষ্ট করে দাবি করেন, আজ জিপিওতে পুলিশের গুলিতে একজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। দাবিটি শুধু ভুয়া নয়, বিশুদ্ধ গুজব। কারণ কেউ নিহত হয়নি। ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওটি জয় ১১ মিনিটের মধ্যে ডিলিট করে দেন। টুইটার থেকে ভিডিওটি ডিলিট করেন ২১ মিনিটের মাথায়। এটা জনাব জয়ের অনেক পুরনো খেলা। গত ১১ মাসে তিনি অন্তত ২০টি গুজব ছড়িয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ডিলিট করে দিয়েছেন। আমার ধারনা, ওই কয়েক মিনিটেই গুজব ছড়ানোর কাজটি তিনি সেরে ফেলেন। এরপর ডিলিট করেন।
আপনার মতামত লিখুন :