ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ইলিশের দাম এলো ২০০ টাকায়


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ৯:০৭ অপরাহ্ণ /
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ইলিশের দাম এলো ২০০ টাকায়

ইলিশের ভরা মৌসুমেও দাম না কমায় ফরিদপুরের বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।তাদের উপস্থিতিতে বাজারে ইলিশের দাম কমে যায় কেজিপ্রতি ২০০ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ ইলিশের বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, ফরিদপরে বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ছিল ইলিশের দাম। এ নিয়ে ক্ষোভ ছিল ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ ছিল, সরকার বদল হলেও বাজার ব্যবস্থাপনা এখনো সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ ইলিশের বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।

বাজারে মাছ কিনতে আসা মুস্তাসিন রহমান বলেন, ‘অভিযানের আগে যে মাছটির দাম ১৮০০ থেকে ১৯০০ চাওয়া হয়েছিল এখন সেটি কমে ১৫০০-১৬০০ টাকায় চলে এসেছে। এরকম নজরদারির মাঝে মধ্যেই হওয়া দরকার, তবেই অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ভোক্তারা রেহাই পাবে।’

ক্ষোভ জানিয়ে ক্রেতারা বলেন, অভিযানের ফলে কেজিতে ২০০ টাকা বা তার কম-বেশি দাম কমেছে, তবে কেন সবসময় এমনটি হবে না। আমাদের ব্যবসায়ীদেরও নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে। সবকিছুতেই অধিক মুনাফা খোঁজার অভ্যাসটা খুব খারাপ জিনিস।

অভিযান পরিচালনার সময় খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘ইলিশ মাছের আড়তদাররা ৪২ থেকে ৪৩ কেজিতে মণ হিসেবে কিনলেও খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে ৪০ কেজিতে মণ। দেশের কোনো মাছ বাজারে এই ব্যবস্থা নাই। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আড়তদার মাছ দেওয়া বন্ধ করে দেয়।

এ বিষয়ে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে বিভিন্নভাবেই আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল ইলিশের সিন্ডিকেটের বিষয় নিয়ে। যে কারণে আমরা বাজার পরিস্থিতি জানার জন্য অভিযান পরিচালনা করেছি। বাজারে নানা অভিযোগ আমাদের দৃষ্টিতে আসে। প্রাথমিকভাবে আমরা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি। এছাড়া দুইটি আড়তদারকে (দুর্গা মৎস্য ভাণ্ডার ও রুপালি ইলিশ) ৪০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’