বিশ্ববাজারে কমছে ভোজ্য তেলের দাম। এরই প্রেক্ষিতে সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। যা চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দাম কমানোর পাঁচ দিনেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি আগের দামেই কিনতে হচ্ছে ভোজ্য তেল।
এমনকি দাম কমানো সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাজারে এখনো আসেনি বলে জানিয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, কোম্পানিগুলো সর্বশেষ যে সয়াবিন তেল সরবরাহ করেছে তাতে আগের মূল্য লেখা রয়েছে।
এ জন্য আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
গতকাল সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে সরকার নির্ধারিত দামে সয়াবিন তেল মিলছে না। এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯৫০ থেকে ৯৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু কিছু দোকানে ১৯০ টাকায়ও সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে।
তালতলার ব্যবসায়ী আশরাফ উদ্দীন বলেন, কোম্পানি থেকে নতুন করে পাওয়া এক লিটার সয়াবিনের বোতলে দাম উল্লেখ আছে ১৯৯ টাকা।
অন্যদিকে পাঁচ লিটারের বোতলে ৯৮০ টাকা। এ জন্য আমরা কম দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করতে পারছি না।
একই কথা বলেন হাতিরপুলের ব্যবসায়ী আসিফও। তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের দাম ৯১০ টাকা হওয়ার কথা। তবে নির্ধারিত মূল্যের তেল আমাদের কাছে এখনো আসেনি। কোম্পানি কম দামে তেল না দিলে আমরা কীভাবে দাম কমিয়ে বিক্রি করবো?
নতুন মূল্যের তেল পেলে অবশ্যই নির্ধারিত দামে বিক্রি করবো। তবুও আমরা আগের থেকে কিছুটা দামে বিক্রি করছি জানিয়ে তিনি জানান, এক লিটার সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯৫০ টাকা বিক্রি করছি।
এদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী এক লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৬ টাকা আর এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। তবে এ দামে খোলা সয়াবিন বা পাম তেল কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেল ও পাম তেল কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল কিনতে ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা আর প্রতি কেজি পাম তেল কিনতে ভোক্তাদের গুনতে হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
এদিকে সরকার নির্ধারিত দামে তেল কিনতে চাইলেও ক্রেতাদের আগের দামেই কিনতে হচ্ছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। সয়াবিন তেল কিনতে আসা তোফায়েল আহমেদ বলেন, দাম বাড়লে আগেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ায়। কিন্তু দাম কমলে এরা নানা অজুহাত দেখায়।