জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট- ছবি : সংগৃহীত
গত ২১ জুলাই দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার (তেজগাঁও) থেকে উড্ডয়ন করে একটি যুদ্ধবিমান। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হয় এটি। পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকীর ইসলাম বিমানটিকে জনবসতি এড়িয়ে নিরাপদ স্থানে নামানোর চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপরই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি, যেখানে তখনো শ্রেণিকক্ষে চলছিল পাঠদান।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলে আরও একটি নাম যুক্ত হয়েছে। দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী জারিফ। শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই নিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। জানা গেছে, জারিফের মরদেহ এখনো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার (তেজগাঁও) থেকে উড্ডয়ন করে একটি যুদ্ধবিমান। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হয় এটি। পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকীর ইসলাম বিমানটিকে জনবসতি এড়িয়ে নিরাপদ স্থানে নামানোর চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপরই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি, যেখানে তখনো শ্রেণিকক্ষে চলছিল পাঠদান।
তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। হতাহতদের নেওয়া হয় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে। দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ জন, আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক শিশু, শিক্ষক ও অভিভাবক। আহতদের মধ্যে এখনো অন্তত ৫০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে।
আহতদের চিকিৎসায় চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল বাংলাদেশে এসে কাজ করছে। তারা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। কমিটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানানো হয়েছে। সরকার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংস্কার ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কৌশলগত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।