সংবাদদাতাঃ কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পুরাতন ব্রিজের গাঁ ঘেঁষে অপরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন ধরে বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন চলছে। পাইপযোগে উত্তোলিত বালু নদী থেকে ২০০ মিটার দূরে স্তূপ করা হচ্ছে। সেখান থেকে ট্রাকযোগে অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বালু উত্তোলনের ফলে নদীর ব্রিজ, বাঁধ, রাজকান্দি বনরেঞ্জ অফিস ও আশপাশের বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়ছে। মেশিনের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন স্হানীয়রা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্রিজের দুই কিলোমিটার দূর থেকে বালু উত্তোলনের কথা আইনে থাকলেও বাস্তবে তা কখনো মানা হচ্ছে না।
কমলগঞ্জের রাজকান্দি বনরেঞ্জ অফিসসংলগ্ন ধলাই নদীর পুরাতন ব্রিজের সন্নিকটে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। বালুমহাল ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন করায় ভেঙে পড়ছে নদীর বাঁধ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষার্থীসহ স্হানীয় দুই বাসিন্দা ও সরকারি চাকুরীজীবী জানান, গত তিন বছর যাবত্ নদীর এই স্হান থেকে অবাধে বালু উত্তোলন চলছে। স্হানীয় একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে একাধিক বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন করছে। দিনভর বোমা মেশিনের উচ্চ শব্দ অতিষ্ঠ করে তুলছে।
এদিকে ধলাই নদীর মাধবপুর রোডেও একাধিক স্হানে বোমা মেশিনে চলছে বালু উত্তোলন। ধলাইপার, মাধবপুর, আলেপুর, চণ্ডিপুর, দক্ষিণ কুমড়াকাপন, রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট, ধর্মপুর, মৃত্তিঙ্গা এলাকাসহ নদীর বাঁকে বাঁকে বালু উত্তোলন চলছে।
রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রাম এলাকায় বোমা মেশিনে বালু উত্তোলনের ফলে কয়েকটি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। ফলে অনেক স্হানেই বাড়িঘর, কৃষিজমি, ব্রিজ, নদীর বাঁধ রয়েছে হুমকির মুখে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার বলেন, ব্রিজের পাশ থেকে বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন ইতিপূর্বে বন্ধ করা হয়েছিল। ব্রিজ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে বালু উত্তোলন করার জন্য তাদের বলা হবে বলে তিনি জানান।
কমলগঞ্জ উপজেলার ইউএনও সিফাত উদ্দীন বলেন, ব্রিজের পাশ থেকে বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন করা মোটেও ঠিক নয়। সে বিষয়ে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।