মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র - ফাইল ছবি
মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা চালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট আজ শুক্রবার থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা আমদানি করা হয়েছে। প্রক্রিয়াটির সাথে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ কথা জানান।
এ জে এম এরশাদ আহসান হাবিব, মহাপরিচালক (এডিশনালল চার্জ) পাওয়ার সেল বাসস’কে বলেন, ‘প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমরা কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করেছি।’ তিনি বলেন, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ারড পাওয়ার প্ল্যান্ট এখন রক্ষণাবেক্ষণাধীন এবং শুক্রবার থেকে এটি চালু হবে। তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে কয়লা আসছে, তাই এখন থেকে আর কয়লা সংকট দেখা দেবে না। ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্ল্যান্টের প্রতিটি ইউনিটে প্রতিদিন ৫০০০ টন কয়লা ও অন্য ইউনিটের জন্য ৫০০০ টন কয়লা প্রয়োজন।’
হাবিব বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকরা ১০-১৫ দিনের পরিবর্তে ২-৩ দিনের মধ্যে মাদার ভেসেল থেকে কয়লা আনলোড করছেন। তিনি বলেন, শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে থাকায় মঙ্গলবার দেশে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কয়লা সংকটের কারণে ১,২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুই ইউনিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৩১ অক্টোবর থেকে বন্ধ ছিল। এতে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ গত সপ্তাহে ৭০ হাজার টন কয়লা নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে পৌঁছেছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার আরেকটি জাহাজ ৬০ হাজার টন কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসেছে।
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের মাতারবাড়ী সাইট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিবহন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি কয়লা আমদানির জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, মেঘনা গ্রুপ ও বিড়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এক বছরে ৩.৫ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করবে।
পাওয়ার সেলের ডিজি বলেন, শীত মৌসুম ঘনিয়ে আসায় এখন বিদ্যুতের চাহিদা ইতোমধ্যে আগের চেয়ে কমে এসেছে।
বাসস