

বিনোদন জগতের সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সালমা দীর্ঘ ৯ বছর পর কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহের আখড়াবাড়ির মূলমঞ্চে গান গাইলেন। লালন শাহের তিরোধান দিবসের আয়োজনে গত শনিবার রাতে তিনি পরিবেশন করেন ‘মিলন হবে কত দিনে’সহ লালনের চারটি গান।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে লালন শাহের আখড়া মঞ্চে গান গাওয়া প্রসঙ্গে কথা বললেন সালমা। অনেক দিন পর আখড়াবাড়িতে গান গাওয়া প্রসঙ্গে সালমা বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর পর গান করলাম। অনেক ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে— বাড়ির মেয়ে ঘরে ফিরেছি। সবাই জানত আমি আসছি, লালন একাডেমি আগেই জানিয়েছিল। এবার দর্শকদের ভিড় ছিল অসাধারণ। নিজের এলাকার মানুষ যখন এভাবে ভালোবাসা দেখায়, সেটি অন্য রকম এক অনুভূতি।
গুরু বা সহশিল্পী—পুরোনো কারও সঙ্গে দেখা হলো কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ, গুরুভাইদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। গুরুজি বাউল শফি মণ্ডলের দুই শিষ্য তফি ভাই আর শাহাবুদ্দীন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। এ সংগীতশিল্পী বলেন, তাদের সঙ্গে প্রায় ২৫ বছর আগে থেকে কাজ করছি। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল, যেন আবার সেই ছোটবেলায় ফিরে গেছি। কত স্মৃতি আমাদের। যেখানেই গান করেন, মৌলিক গানের পাশাপাশি লালনের গান করেন, কিন্তু কেন?
এর জবাবে সালমা বলেন, আমি কুষ্টিয়ার মেয়ে, তাই এটা আমার দায়বদ্ধতা। ছোটবেলা থেকেই মানুষ আমাকে ‘লালনকন্যা’ বলে ডাকে। আমি নিজে বলি না, মানুষই বলে। জানি না লালন সাঁইজির ‘নাতিপুতি’ হওয়ার যোগ্য কিনা। এ সংগীতশিল্পী বলেন, আমি মনে করি, ফরিদা পারভীনই ছিলেন লালন ফকিরের আসল কন্যা। তিনি সাঁইজির বাণীকে এক জীবনের সাধনায় ধারণ করেছেন। তার অবদান অপরিসীম। যত দিন লালনের বাণী থাকবে, ফরিদা পারভীন ম্যাডামও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
আগামীতে ছেঁউড়িয়ার আয়োজনে আপনাকে দেখা যাবে কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তরে সালমা বলেন, অবশ্যই। শুধু লালন উৎসব নয়, কুষ্টিয়াবাসীর যে কোনো অনুষ্ঠানে ডাক পেলে আসতে চাই। তবে আমি চাই, আয়োজকরা যেন সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অনেক সময় বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়, তখন বাজেট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়। তিনি বলেন, এলাকার বাইরে একজন প্রফেশনাল আর্টিস্ট হিসেবে অনুষ্ঠান করে যে টাকাটা ইনকাম করি, তৃতীয় পক্ষ কিন্তু সেই বাজে টা বলেন। তখন কিন্তু রাগ–অভিমান করে এলাকার আয়োজকরা আমাকে ফোন করা বন্ধ করে দেন। আমি চাই, তারা সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলুন, জানুন আমি কেমন আছি, কী ভাবছি।
আপনার মতামত লিখুন :