মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৬, ২০২৫, ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ /
মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত

প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন | সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই দেশটির প্রশাসনের সাথে আলোচনা করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই দেশটির প্রশাসনের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে জরুরি বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘সঙ্কট কাটাতে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চায় সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই দেশটির প্রশাসনের সাথে আলোচনা করবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের রফতানি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতেও শুল্ক বেড়েছে, তাই যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক নীতিতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য থাকায় সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমনো হবে।’

এ সময় সাংবাদিকদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানও কথা বলেন।

খলিলুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি আকস্মিক নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা করেই নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের রফতানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে। এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, যা এখন বেড়ে হলো মোট ৫২ শতাংশ।

বাংলাদেশী তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকের পারিমাণ ৭৩৪ কোটি ডলার।