- ছবি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর ইউনিটির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় খুলনা মহানগর থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী প্রায় ২৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাগেরহাটের মোল্লাহাট মাদ্রাসাঘাট এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ি থামিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে।
পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া হয় । এ সময় প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোল্লাহাট অতিক্রম করার সময় আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। স্থানীয়রা তাদের অসহযোগিতা করে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। থানার সামনে ঘটনা হওয়া স্বত্বেও এ সময় পুলিশ নিরব ভূমিকায় ছিলো বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে খুলনা মহানগর থেকে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ আয়োজনে যোগ দিতে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। বহরের একটি গাড়ি কিছুটা পেছনে পড়ে। ফকিরহাটের নওয়াপাড়া এলাকা থেকে শুরু করে মোল্লাহাটের একটি পাম্প পর্যন্ত ওই গাড়িকে যাত্রীবাহী একটি বাস বারবার চাপ দিচ্ছিল। সাইড দেয়া নিয়ে ওই গাড়ির লোকজনের সাথে শিক্ষার্থীদের কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে ওই গাড়ির লোকজন ও স্থানীয় বাস কাউন্টারের লোকজন গাড়ি থেকে কয়েক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে মারধর করে। শিক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়িটির কাচ ভাঙচুর করেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে হামলাকারীদের সংঘর্ষ বাধে। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হন।
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় খুলনা-মাওয়া মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বহর ঢাকায় যাচ্ছিলো। পথে আমাদের উপর হামলা করে। অনেকে আহত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা এই আক্রমণ করেছে বলে জানান তিনি।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি জানান, এ সময় কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনায় কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
তিনি আরো জানান, বেলা সোয়া একটা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। আবার সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন।