মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের প্রেমের টানে নুরকারমিলা বিনতে হামিদ নামের এক তরুণী বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি মালয়েশিয়ার কামপুং কেলেওয়াক এলাকার বাসিন্দা। প্রেমিক জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠান করে ওই মালয়েশিয়ান প্রেমিকাকে বিয়ে করেছেন। মসজিদে অনুষ্ঠিত বিয়েতে উপস্থিত হয়ে গ্রামবাসী আনন্দ উল্লাস করেছেন। গোটা এলাকায় তাদের নিয়ে যেন চলছে উৎসবের আমেজ।
শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের জোলারপাড় এলাকার মসজিদে ধুমধাম করে তাদের বিয়ে হয়।
নুরকারমিলা বিনতে হামিদ জানান, তিনি ওখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। গত ১৮ জুলাই ভালোবাসার টানে প্রেমিক জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে এসেছেন। এখানে এসে তিনি মুগ্ধ। জাহাঙ্গীর মালয়েশিয়া থাকার সুবাদে তাদের পরিচয় হয়।
তার মতে, বাঙালি ছেলে জাহাঙ্গীর খুব ভালো, সৎ ও দায়িত্বশীল। তাই শুধু সবচেয়ে ভালো বন্ধু না, জীবন সঙ্গীভেবে এখানে ছুটে এসেছেন। এসে বিয়ে করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। শ্বশুরবাড়ির আতিথেয়তায় ও ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ। কিছু দিন বাংলাদেশে থেকে নিজ দেশ মালয়েশিয়ায় গিয়ে স্বামী জাহাঙ্গীরকে দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য নূরকারমিলা আনুষঙ্গিক কাগজপত্র, ভিসা প্রসেসিং শুরু করবেন। এ কাজ করতে তার কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এসব সম্পন্ন হলেই জাহাঙ্গীরকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবেন তিনি।
জাহাঙ্গীর জানান, ২০১৪ সালে চাকরির জন্য মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। নুরকারমিলার সাথে চাকরি করতেন তিনি। তারপর ধীরে ধীরে পরিচয় ও ভালো লাগা। সে পরিচয় থেকে কথাবার্তা ও দু’জনের মধ্যে ভালোবাসা হয়। জাহাঙ্গীর গত তিন বছর আগে দেশে আসেন। করোনার কারনে তিনি আর মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। মালয়েশিয়া না গেলেও প্রেমিক নুরকারমিলা বিনতে হামিদের সাথে তার নিয়মিত কথা চলতে থাকে। ভালোবাসার টানে মনের মানুষটি বাংলাদেশে এলে পরিবার ও স্বজনদের সম্মতিতে তাকে বিয়ে করেন। শতাধিক লোকের আয়োজনে স্থানীয় মসজিদে জাহাঙ্গীর-নুরকারমিলার বিয়ে হয়। সামাজিক ও ধর্মীয় নিয়ম মেনে বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়ের আগের দিন গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়। জাহাঙ্গীরের প্রতিবেশীর বাড়িতে কনের গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরো জানান, বাংলদেশে বিয়ে করলেও জাহাঙ্গীর তার মাকে সাথে নিয়ে স্থায়ীভাবে মালয়েশিয়ায় দাম্পত্য জীবন কাটানোর চিন্তা রয়েছে তাদের। জাহাঙ্গীর-নুরকারমিলা বিয়েতে নিজ গ্রাম ছাড়া আশপাশের এলাকার লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। নুরকারমিলা মালয়েশিয়ান মুসলিম পরিবারের মেয়ে। এখন দু'জনের একসঙ্গে ভালো সময় কাটছে। কিছু দিন পরে আবারো দু'জন কাজের জন্য মালয়েশিয়া চলে যাবেন। আপাতত ওকে নিয়ে বিভিন্ন যায়গা ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।