দ্রুত শেয়ার করুন-
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত থাকা যায় না। এটি শুধু এখন যোগাযোগের মাধ্যম নয়, দৈনন্দিন জীবনের নানান কাজেই এখন আমরা ব্যবহার করছি এই অতি প্রয়োজনীয় ডিভাইসটি। কিন্তু হঠাৎই আপনার প্রয়োজনীয় ফোনটি ভাইরাসের শিকার হতে পারে। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি দিনের বেশিরভাগ সময়ই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যার কারণে মোবাইল ফোনটি সহজেই ভাইরাসে প্রভাবিত হতে পারে।
ফোনে ভাইরাস আছে কি না তা জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ইতিমধ্যে মোবাইলটি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ব্যক্তিগত অনেক তথ্যই আপনার অজান্তে চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ব্যক্তিগত তথ্য ও মোবাইল ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে আগে থেকেই জেনে নিন ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনার মোবাইলে ঠিক কী কী সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে।
১. ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমেই আপনার মোবাইল ফোনে যে অসঙ্গতি দেখা দেবে তাহলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ডাটা বা ইন্টারনেট প্যাক খরচ হওয়া।
২. একই অসঙ্গতি মোবাইলে বার বার লক্ষ্য করলে এটিও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে।
৩. ফোনের ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হলে বুঝবেন আপনার ফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত।
৪. অনেক ফোনে সন্দেহজনক বিজ্ঞাপন আসা শুরু হয়। বার বার এই ধরনের বিজ্ঞাপন আপনার কাজে বাধা দিতে শুরু করে।
৫. হোম স্ক্রিন বার বার বদলে যাওয়া ফোন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ।
৬. প্রয়োজনীয় কাজ করার সময় ফোনের স্বাভাবিক গতি আর পাবেন না। প্রায়ই ফোন হ্যাং সমস্যায় ভুগতে শুরু করবে।
ফোনে এমন সমস্যা দেখা দিলে ভাইরাস ঠেকাতে আপনি কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন-
১. যদি মোবাইলে কোনো নতুন অ্যাপ ইনস্টল করে থাকেন তবে তা ভাইরাস ফাইন্ডিং অ্যাপ দিয়ে দ্রুত চেক করুন। যদি চেক করার পর তা লাল রং দেখাতে থাকে তবে অ্যাপ আনইনস্টল করুন।
২. ফোনের সেটিংস থেকে আপনার ব্রাউজার ক্যাশ পরিষ্কার করুন।
৩. নিয়মিত অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল স্ক্যানিং করুন। ব্যবহৃত সফটওয়্যার আপডেট করুন।
৪. ফোনের গতি বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ও ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করুন।
৫. যদি তারপরও মোবাইলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যাগুলো লক্ষ্য করেন তবে ব্যাটারি ড্রেন ঠিক করতে ও মেরামত করতে ফ্যাক্টরি রিসেট করুন।
তবে এই কাজটি করার আগে অবশ্যই আপনার মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ব্যাক আপ করে নেবেন। তা না হলে রিসেট করার কারণে এই প্রয়োজনীয় ফাইল আপনি আর খুঁজে পাবেন না।