আঃজলিলঃ পাওনা টাকা না দেয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় যশোরে ট্রাক চালক রেজাউল করিমকে (৩৮) শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেয় হেলপার হৃদয়। এরপর ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এ তথ্য জানতে পেরেছে। এসময় ট্রাক ও মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। হেলপার হৃদয় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম নথুরা গ্রামের জসিমের ছেলে। আর চালক রেজাউল বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকীরচর গ্রামের ইউনুস বয়াতির ছেলে।
শুক্রবার বিকেলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র রুপন কুমার সরকার জানান, ২১ জুন সকালে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের পদ্মবিলা গ্রামের একটি পুকুর থেকে রেজাউল করিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২২জুন হেলপার হৃদয়সহ অজ্ঞাতদের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন রেজাউলের স্ত্রী হাসিনা বেগম। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা পুলিশের সহায়তা আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার হেফাজত থেকে চুরি করা ট্রাক ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। হত্যা পরবর্তীতে ভিকটিমের নিকট থেকে চুরি করা ট্রাকটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর হাতে লেখা রং দিয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় জানিয়েছে, ভিকটিম রেজাউলের কাছে পাওনা টাকা চেয়ে না পেয়ে ক্ষোভে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সাতক্ষীরা ভোমরা থেকে বসুন্দিয়া আসার পথে গত ২১ জুন রাত আনুমানিক ২টার দিকে যশোর শহরতলীর মুড়লি রেলক্রসিং পার হওয়ার পর রেজাউল বিশ্রাম করার সময় ঘুমিয়ে পড়েন।
এসময় ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় রশি দিয়ে পেঁচিয়ে রেজাউলকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে ট্রাক ও মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায় হৃদয়। ট্রাক নিয়ে কুষ্টিয়া খোকসা থেকে পেঁয়াজের ভাড়া (খ্যাপ) নিয়ে কুমিল্লার চান্দিনা কাঠেরপুল পেঁয়াজের আড়তে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়।