নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শহরতলীর মন্ডলগাতী আদর্শপাড়ার একটি বস্তিতে অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির কারিগরসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্র, চাকু, বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম ১২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আটক চারজন হলো, পুলেরহাট এলাকার কবির হোসেনের ছেলে মুরাদ হোসেন (২১), চাঁচড়া রায়পাড়া আলতাফের মোড়ের রবিউল ইসলামের ছেলে জিসান ওরফে ভাগ্নে জিসান (২১), মন্ডলগাতি সত্তরঘর বস্তির মৃত মুনসুর আলীর ছেলে শুকুর আলী (৫৫) এবং কৃষ্ণবাটি গ্রামের জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে ফয়সাল হোসেন (২৩)। পলাতক আসামিরা হলো, চাঁচড়া রেলগেট এলাকার খালিদ গাজীর ছেলে ইমন ওরফে ভাগ্নে ইমন (২৪), কৃষ্ণবাটি গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩২), জাকির হোসেনের ছেলে জয় ওরফে ভাগ্নে জয় (২১), শংকরপুর গোলপাতা মসজিদের আলীর ছেলে সুইট (২৩), কৃঞ্চবাটি গ্রামের লিটনের ছেলে নুর আলী (২১), বাবুর ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৪), শংকরপুরের মেসিয়ার খোকনের ছেলে সাব্বির ওরফে গোল্ডেন সাব্বির (২৪) এবং সদর উপজেলার রঘুরামপুরের নওয়াব আলীর ছেলে আবু সাঈদ (২৫)।
এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসামিদের বেশির ভাগই জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম সজল হত্যার সাথে ‘জড়িত’। গত রোববার রাতে তারা মন্ডলগাতি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘরে আরিফুল ইসলাম তপু নামে একজনকে আটকে রেখেছে বলে সংবাদ পান। পরে রাত ৯টা দিকে সেখানে অভিযান চালালে ৮জনসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন পালিয়ে যায়। কিন্তু ৪জনকে আটক করা হয়। পরে সেখান থেকে লোহার তৈরি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, দুইটি চাকু, ৪টি তাজা ককটেল, ককটেল তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জাম, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম ও দুইটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আসামিরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, বোমা হামলাসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন মানুষকে জিম্মি করে টাকাসহ মূল্যবান সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া আটক শুকুর আলী পেশাদার ককটেল তৈরীর কারিগর। সে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়ায় ককটেল তৈরি করে থাকে। এই ঘটনায় আটক ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
এদিকে সেখান থেকে উদ্ধার মৎস্য ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম তপু কোতয়ালি থানায় আরো একটি মামলা করেছেন। তার দায়ের করা মামলার আসামিরা হলো, ইমন, মুরাদ, বিল্লাল, জয় ওরফে ভাগ্নে জয়, জিসান ওরফে ভাগ্নে জিসান, সুইট, নুর আলীসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, আসামিরা বিভিন্ন সময় তার কাছে চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা তার ক্ষতি করার হুমকি দেয়। গত ৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে তিনি ব্যবসায়ীক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে কৃষ্ণবাটি মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা তার পথরোধ করে। পরে তার কাছ থেকে ওই টাকা এবং মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেয়। তিনি এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিলে ডিবি পুলিশে একটি টিম রোববার রাতে তাদের বেশ কয়েকজনকে আট করে।
আপনার মতামত লিখুন :