যশোর সদরের ফরিদপুর গ্রামের স্কুলছাত্র অলিদ হাসান হত্যা মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট ও দোষীপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ না পাওয়ায় লুৎফর রহমানকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে কোতোয়ালি থানার এসআই আল আমিন হোসেন আদালতে চার্জশিট জমা দেন। অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলার পাগলাদাহ গ্রামের লুৎফর মোল্যার ছেলে রিপন হোসেন,বাবর আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম, রিপন হোসেনের ছেলে আজমীর আলী আপন,বড় হৈবতপুর গ্রামের আবু সাঈদ শেখের ছেলে শামীম শেখ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবম শ্রেণির ছাত্র অলিদ হাসান চলতি বছরের ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় মোবাইলে কথা বলে মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বজনেরা খবর পান অলিদ ও তার বন্ধু আরিফ ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে। হাসপাতালে পৌঁছে স্বজনেরা অলিদকে মৃত অবস্থায় পান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাবর আলী বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তে উঠে আসে ৩১ মার্চ ছিল ঈদের দিন। বিকেলে বন্ধুদের সাথে পাগলাদাহ গ্রামের ব্রিজে আড্ডা দিচ্ছিল অলিদ। এ সময় আসামিরা ব্রিজে বাজি ফোটাতে শুরু করলে অলিদ ও তার বন্ধুরা নিষেধ করে। এতে উভয়পক্ষে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আসামিরা অলিদ ও আরিফকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর অলিদের মৃত্যু হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে একজন প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপর তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার চার্জশিটে অভিযুক্তদের সবাইকে আটক দেখানো হয়েছে।