

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘দেশসেরা উদ্ভাবক’ মিজানুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় কারাগার অভ্যন্তরে একটি কক্ষে তিনি আত্মহত্যা করেন। তিনি যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে।
জানা যায়, চলতি বছরের গত ২৪ জুলাই শ্যালক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান তিনি। হত্যার ২১ বছর পর এই রায় ঘোষিত হয়। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে জানান স্থানীয়রা।
ওয়ার্কসপ মেকানিক থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আবিস্কার করে এক দশক ধরে জেলায় পরিচিত পান ‘উদ্ভাবক মিজান’ নামে। তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, প্রতিবন্ধীদের জন্য যানবাহন তৈরি করেছেন। পেয়েছেন দেশসেরা উদ্ভাবকের পুরস্কারও। পরবর্তীতে তিনি নিজের সকল সম্পদ দান করেন মানবতার সেবায়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে যেকোনো সময়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে কার্পেট চালির দরজা ভেঙে প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে কর্তব্যরত কারারক্ষীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ জানান, মিজানুর রহমান মূলত কপোতাক্ষ-৩ ভবনে থাকতেন। কিন্তু কৌশলে তিনি কার্পেট চালির (সেখানে কার্পেট তৈরি হয়) দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যান। সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। তারা এলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :