নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর চেম্বার অফ কমার্সের নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) বেনাপোল স্থলবন্দরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন।
বন্দরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মোঃ মামুন কবীর তরফদার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন যশোর চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান, যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক এজাজ উদ্দিন টিপু, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন, আবদুল হামিদ চাকলাদার, এস এম সাইফুল ইসলাম লিটন, বেনাপোল সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সৈয়দ শামসুল আলম মহাম্মদ খালিদ, ফাতেমা ইয়াসমিন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, বেনাপোল বন্দর দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর। ভারতের সাথে দেশের সিংহভাগ আমদানি হয়ে থাকে এই বন্দর দিয়ে। বন্দরটিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সরঞ্জামাদির স্বল্পতা আছে। যেকারণে আমদানি ও রফতানিকারকরা নানাভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। ফর্কলিফট ও ক্রেন স্বল্পতার কারণে পণ্য ডেলিভারি নিতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে করে ব্যবসায়ীদের ডেমারেজ দিতে হয়। বন্দরটিতে কয়েকবার আগুন লেগে বহু ব্যবসায়ী পথে বসেছে। আমদানিকৃত পণ্য চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে পারছেনা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, যশোর বেনাপোল সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করতে না পারলে এ পথে বাণিজ্য গতি ফিরে আসবে না। বেনাপোল কাস্টম ও বন্দর থেকে সরকার প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি টাকা আয় করলেও এটিতে আন্তর্জাতিকভাবে গড়ে তুলতে ভূমিকা নিচ্ছেনা। অতি দ্রুত কন্টেইনারে পণ্য ওঠা-নামার ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্দরটিতে আরও গতিশীল করতে ব্যবসায়ী, কাস্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে না পারলে বন্দরটি তার গৌরব হারাবে। এই বন্দরে আন্তর্জাতিকমানের শেড নির্মাণ করতে হবে।
পরে চেম্বারের নেতৃবৃন্দ বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মো: কামরুজ্জামানের সাথে দেখে করে তাদের বক্তব্য পেশ করেন। তবে আগামীতে বৃহৎ পরিসরে কাস্টমের সাথে সভা করবে চেম্বার নেতৃবৃন্দ বলে জানান সংগঠনটির সভাপতি মিজানুর রহমান খান।
এদিকে, যশোর চেম্বার নেতৃবৃন্দ বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতবৃন্দের সাথে সভা করেছেন। নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি আলহাজ্ব শামসুর রহমান। এ সময় সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চেম্বার নেতবৃন্দ বলেন, যশোর অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। জেলাটিতে তেমন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। এজন্য অর্থনৈতিক উন্নতি করতে হলে সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত ছাড় করাতে তাদের ভূমিকা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে কোন ধরণের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সিএন্ডএফ এজেন্টদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করা প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :