নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে ডিবির অভিযানে হানি ট্র্যাপ চক্রের আরও ছয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তারা নারীদের দিয়ে কৌশলে পুরুষদের ডেকে এনে মুক্তিপণ দাবি করে। শনিবার রাতে শহরের খালধার রোড এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। একই সাথে ভিকটিমকেও উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।এছাড়া এ কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন উপশহর বি-ব্লক এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে ফাহিম হোসেন, বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বী, মধুগ্রামের হারুন উর রশিদের ছেলে মারুফ হোসেন, শংকরপুর টার্মিনার এলাকার শুকুর আলীর ছেলে ছাব্বির হোসেন, বেজপাড়ার মৃত মতিয়ারের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন ওরফে রোহান ও বেজপাড়া দিঘীরপাড় এলাকার মৃত অশোক কুমার দাসের মেয়ে লক্ষী রানী সরদার ওরফে রাবেয়া খাতুন।
ডিবি পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ঝিকরগাছার ফুলবাড়ি গ্রামের আশিকুর রহমান এ চক্রের ফাঁদে পরে। আশিকুরকে তারা অপহরণ করে পাঁচলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে আশিকুরের মা সালমা বেগম এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ দেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ডিবিকে। পরে ডিবির পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি সহযোগিতায় প্রথমে বিপুলের অবস্থান শনাক্ত করেন। এরপর ডিবির টিম রাত সাড়ে ১২ টায় শহরের খালধার রোড আমিনিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে আসামি ফাহিমকে আটক করে ও ভিকটিম আশিকুরকে উদ্ধার করে। পরবর্তিতে জিজ্ঞাসাবাদে এসব বিষয় খুলে বলেন। একপর্যায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের অন্য পাঁচসদস্যকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
ডিবি আরও জানায়, মুলত লক্ষীর রানী সরদার ওরফে রাবেয়ার সাথে আশিকুরের পূর্বপরিচিত ছিলো। সেই সূত্র ধরে শনিবার দুপুরে আশিকুরকে যশোরে আনা হয়। পরে খালধার রোডের ওই ফ্ল্যাট নিয়ে যান। সেখানে ওঁৎ পেতে বসে ছিলেন অন্যরা। এরপর তাকে ব্ল্যাকমেইল করে পাঁচলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এমনকি বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয় এ চক্র।
ডিবি আরও জানায়,মূলত এ চক্রের কাজই মেয়েদের দিয়ে ছেলেদের কৌশলে ডেকে এনে ব্ল্যাকমেইল করা। এছাড়া কৌশলে কোনো নির্জন রুমে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করা। অনেক সময় এ চক্রের সদস্যরা মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নেয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ডিবি পুলিশ ও পিবিআই সদস্যরা এ ধরণের ব্ল্যাকমেইল চক্রের বেশকয়েকজন সদস্যকে আটক করে।